এবারের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন, তাদের স্ব স্ব উপজেলাতেই নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা সভাপতির কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আয়োজিত ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আগেও হয়েছে। তখন সার্টিফিকেট দেয়া হতো। এ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগও আছে। কিন্তু এবারই প্রথম আমরা পিএসসি’র (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) মত একটি মান সম্মত উপায়ে পরীক্ষা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে প্রথম প্রিলিমিনারি টেস্ট হয়েছে। এখন লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে। এরপর ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগামী অক্টোবরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে চাহিদা নিয়েছি। এর ফলাফল প্রকাশের সময় সম্পূর্ণ অনলাইনেই নিয়োগপ্রাপ্তদের জানিয়ে দেওয়া হবে, সে কোথায় নিয়োগ পেলেন। কাজেই এখানে ঘুষ, দুর্নীতির কোনো সুযোগ থাকবে না। স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা সভাপতিরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা চেয়েছিলাম মানসম্মত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে মান সম্মত শিক্ষক বাছাই করতে। এতে যারা নিয়োগ পাবেন, তারাও সম্মানিত বোধ করবেন, যে তারা একটি ভাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার সারাদেশ থেকে প্রিলিতে ৬ লাখ ২ হাজার ৫৩৩ জন প্রার্থী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও টেকনিক্যালের পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও সমমানের জন্য গতকাল (১২ আগস্ট) ৯০ হাজার ৯৪ জন বাছাইকৃত পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের ৫৫ হাজার ৬৯৮ বাছাইকৃত প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিলেন। এর মধ্য থেকে ১৫ হাজার প্রার্থীকে বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকে নিজ নিজ উপজেলাতে নিয়োগ পাবেন। নিজ উপজেলাতে পদ না থাকলে নিজ জেলাতে পাবেন, নিজ জেলাতে না হলে বিভাগে পাবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সরকারকে শিক্ষকের চাহিদা না দিয়ে অস্থায়ী শিক্ষকদের দিয়ে কার্যক্রম চালাবেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।