চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের খুটাখালী ষ্টেশনে দ্রুতগামী মাইক্রোবাস চাপায় পিতা পুত্র সহ ৩ জন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ১৬ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ষ্টেশনে ঘটে এ দূর্ঘটনা। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন গুরুত্বর আহত হন। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু ঘটে। তৎমধ্যে শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক বলে জানায় চিকিৎসক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসটি আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চকরিয়াগামী মাইক্রোবাসটি (যার নম্বর চট্টমেট্রো ছ ১১১৯১০) চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাসষ্টেশনে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। এসময় বিপরীতমূখী চেয়ারকোচ সামনে পড়লে মাইক্রোবাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শে কবরস্থানের লাগোয়া ভাসমান দোকানে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এসময় ঐস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা ৩জন যাত্রীকে বাসটি চাপা দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতারে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মো: জুনাইদ (৩০) নামের এক পাইপ মিস্ত্রির মৃত্যু ঘটে। সে বর্ণিত ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পিয়াজ্জা কাটা এলাকার আবুল কালামের পুত্র। এ ঘটনায় তার শিশু পুত্র রেজাউল করিম (১০) ও তার আপন খালা একই এলাকার শামসুল আলমের স্ত্রী রশিদা বেগম (৫০) গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ দূর্ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসটি আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের তীব্র ক্ষোভের কারণে তাৎক্ষনিক কবরস্থানের পাশে ভাসমান হকারের দোকানগুলো উচ্ছেদ করে পুলিশ।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আসিফ দূর্ঘটনায় নিহত একজনের খবর নিশ্চিত করে জানান, মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে। দ্রুতগামী মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের চাপা দিলে এ ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন।