আমাদের রামু রিপোর্ট:
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই এবারও ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। গ্রেড পয়েন্টের (জিপিএ) পাশাপাশি এবার পরীক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরও জানতে পারবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে দুপুর ১টায় মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন মন্ত্রী। বেলা ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।
৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ :
লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই এবারও ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শুরু হয়। ৯ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ইউপি নির্বাচন এবং ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে বারবার পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ২২ জুনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এবার ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
জিপিএর সঙ্গে জানা যাবে নম্বরও :
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরও জানতে পারবে। আদালতের নির্দেশে এই সুবিধা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে নয়, বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ফলাফলে জিপিএ, গ্রেড পয়েন্টের পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বরও থাকবে।
এবার অনলাইনে নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর আলাদা করে দেওয়া থাকবে। তা ছাড়া যারা বিজ্ঞান বিভাগে রয়েছে, তাদের ব্যবহারিক নম্বরও সেখানে থাকবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীই কেবল তা দেখতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে এসএসসি ও ২০০৩ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট নম্বরভিত্তিক সনাতন পদ্ধতির ফল প্রকাশ বাতিল করে জিপিএ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুরু হয়। আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের সব বিষয়ের পাওয়া নম্বর যোগ করে মোট নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ নির্ধারিত হতো। কিন্তু জিপিএ পদ্ধতিতে নির্ধারিত সীমার নম্বর অনুযায়ী কয়েকটি গ্রেড করা হয় এবং প্রতি গ্রেডের বিপরীতে রাখা হয় একটি নির্দিষ্ট গ্রেড পয়েন্ট। আর সব বিষয়ে গ্রেড পয়েন্টের গড় করে নির্ধারিত হয় একজন পরীক্ষার্থীর ফল।
জানা যায়, গত ১ আগস্ট বোর্ড চেয়ারম্যানস কমিটির সভায় আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যানরা এই সিদ্ধান্ত নেন। ঢাকা বোর্ডের এক শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় নম্বর জানার অধিকার চেয়ে আদালতে রিট করেছিল। ঢাকা বোর্ড সেই রিটের বিরুদ্ধে আপিল করলেও আদালত ওই পরীক্ষার্থীকে নম্বর দেখাতে বলেছেন। একই সঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী নম্বর জানতে চাইবে তাদের নম্বর জানাতেও বলেছেন আদালত।
মোবাইল ও ওয়েবসাইটে ফল : বেলা ২টার পর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিজস্ব সাইটে ফল প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া যেকোনো মোবাইল থেকে এসএসএম করে পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এ জন্য মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
একইভাবে মাদ্রাসা বোর্ডের আলিমের ফল জানতে Alm লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। একইভাবে এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও বোর্ডগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ফল অবহিত করবে। কোনো ধরনের কাগজ বা লিখিত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে না।
সূত্র: রাইজিংবিডি।