অনলাইন ডেস্কঃ
কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরে উত্তর মুহুরীপাড়ায় প্রায় ৬০ একর ফসলি জমির জবরদখলের অভিযোগের বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
প্রথম শ্রেণির একজন বিচারিক কর্মকর্তাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়ে আদালত দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
সেই সঙ্গে কথিত জবরদখলের প্রায় ৬০ একর জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাই কোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরীপাড়ারায় ‘ভূমিদস্যুদের’ ৬০ একর ফসলি জমির ‘জবরদখল’ ঠেকাতে এবং পুনরুদ্ধার করে জমির দখল প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সেই সঙ্গে জবরদখল থেকে এই ৬০ একর ফসলি জমি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে তা হস্তান্তর করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ভূমি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী ভূমি কমিশনার, কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ ১২ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিট আবেদন করার আগে বিবাদীদের উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে কেবল পরিবেশ অধিদপ্তর নোটিসের জবাব দিয়েছে।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে এবং প্রায় ৬০ জমি জবরদখলের প্রমাণ পেয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৫০ একর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ভরাট করে ফেলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই। সেজন্য গত বছর ২৫ অগাস্ট পরিবেশ অধিদপ্তর ভরাটকারীদের কয়েকজনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করেছিল।
এ আইনজীবী বলেন, “আমাদের রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট ওই ৬০ একর জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেছে। ফলে দখলকারী চক্র ওই জমিতে কিছু করতে পারবে না। যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। পাশাপাশি জবরদখলের বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”
কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরীপাড়ারায় ৬০ একর ফসলি জমি জবরদখলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ মার্চ হাই কোর্টে রিট আবেদন করে মানবাধিকার ও আইনি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়।
সূত্র: বিডিনিউজ