হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম সহযোগী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া স্বনামধন্য ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। এ সংগঠনটির রয়েছে নানা গৌরবের ইতিহাস।
কিন্তু কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ছাত্রলীগের কমিটি নেই দীর্ঘ চার বছর ধরে। কমিটি না থাকায় কেউ কারও কথা শুনছেন না। ফলে ভেঙে পড়েছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা। মাঝিবিহীন নৌকার মতো চলতে থাকা ছাত্রলীগের এই শাখায় বর্তমানে অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যেন সবাই নেতা।
উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বহু আগে। উপজেলা কমিটি না থাকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যক্রমেও শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-২০১২ সালে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিগ্যানকে আহবায়ক, ফিরোজ মিয়াকে সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক, ইমরান উদ্দিন রুবেল, রাশেদ আলী খাঁন, ফয়সাল বিন আজাদ, সোহরাব কামাল জাবেদ ও নূর হোসেন মুন্নাকে যুগ্ম আহবায়ক করে তিন মাসের জন্য ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেছিল তৎকালীন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের আজাদ। কিন্তু বর্তমানে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পরিবর্তন হলেও এখনো রামু উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিগ্যান এখন ছাত্র রাজনীতির বাইরে। ফিরোজ মিয়া ফতেখাঁরকুল সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ইমরান উদ্দিন রুবেল বিবাহিত, রাশেদ আলী খান ব্যবসায়ী ও ফয়সাল বিন আজাদ চাকুরিজীবি।
শুধুমাত্র যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব কামাল জাবেদ ও বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের পদে থেকে নূর হোসেন মুন্না তৃণমূল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
সোহরাব কামাল জাবেদ আমাদের রামু কে বলেন, উপজেলায় দীর্ঘ দিন ধরে ঐতিবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছেন। অনেকে আবার ছাত্রলীগের নাম বিক্রি করে ধান্ধাবাজিতে লিপ্ত। এতে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
রামুর ছাত্রলীগনেতা ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হোছাইন মাহমুদ রিফাত আমাদের রামু কে বলেন, মাঝিবিহীন নৌকা যেমন ঠিক পথে চলতে পারে না, ঠিক তেমনি রামুতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় প্রায় সময় তৃণমূলে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সঠিক সিদ্ধান্ত জরুরি।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নূর হোসাইন মুন্না আমাদের রামু কে বলেন, দল ক্ষমতায় আছে, কিন্তু রামুতে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে। উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যতা আনতে হলে অতি শীঘ্রই কমিটি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ (চেয়ারম্যান) আমাদের রামু কে বলেন, রামুর বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। এখন শোকের মাস আগস্ট চলছে। নিয়ম অনুযায়ী আমরা এ মাসে কমিটি ভাঙতে এমনকি গড়তেও পারি না। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্বচ্ছ, বিতর্কহীন, মেধাবী, ও নিয়মিত ছাত্রদের মাধ্যমে রামু ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।