দেশের বিভাগীয় সদর দপ্তরের সরকারি ভবন একই নকশায় নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। খবর বিডিনিউজের।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “সভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, প্রতিটি বিভাগীয় শহরের সরকারি অফিসগুলো যেন একই ধরনের হয়। একই না হলেও যেন ভবনগুলোর মধ্যে সাদৃশ্য থাকে- সে অনুযায়ী নকশা করতে হবে।”
“সরকারি ভবনগুলোর পাশে যেন জলাধার থাকে- সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”
মঙ্গলবারের একনেক সভায় ৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রংপুর বিভাগীয় সদর নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় ১৪তলা বেজমেন্টের উপর ৭তলা ভবনসহ অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হবে।
এই সভায় মোট ৯৮৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় পানি সংরক্ষণ ও পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পুকুর/ দীঘি/ জলাশয়সমূহ পুনঃখননের লক্ষ্যে ৩৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদের ৮০৯টি পুকুর নির্ধারণ করে পুনঃনির্মাণ করা হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, “এই প্রকল্পটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুকুরগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পুকুরে সাবান দিয়ে গোসল করা যাবে না। একই সঙ্গে গবাদি পশুকে গোসল করানো যাবে না।
“পুকুরের চারপাশে এমনভাবে গাছ লাগাতে হবে যাতে পাতা পড়ে পুকুরের পানি নষ্ট না হয়। বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে হবে।”
সভায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
৩০০ একর জমির উপরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণের কাজটি আগেভাগে বাস্তবায়ন করলেই উন্নয়ন সহযোগী সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। এ লক্ষ্যে ৩০০ একর ভূমি অধিগ্রহণে ২৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে।”
প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়, মুন্সিগঞ্জের জেমির দাম বেশ চড়া। ৩০০ একর জমি কিনতে খরচ হবে ২১৭ কোটি টাকা।
এছাড়াও সভায় ১০২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ‘রূপগঞ্জ জলসিঁড়ি আবাসন সংযোগকারী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা সেনানিবাসে ডাইরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এর জন্য আনুষঙ্গিক কাজসহ অফিসার্স মেস কমপ্লেক্স ও বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়।