হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি ইউনিয়ন গর্জনিয়া। এই ইউনিয়নের মেঠোপথে গত রোববার ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে খালি পায়ে প্রভাতফেরি করে গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী। পরে তারা বাংলা ভাষায় শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলার শপথ নেয়।
সকাল আটটায় গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয় প্রভাতফেরি। ‘গর্জনিয়া-থিমছড়ি’ সড়ক ঘুরে শিক্ষার্থীদের সেই প্রভাতফেরি পুনরায় বিদ্যালয় মাঠে ফিরে আসে। সেখানে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এইচ এম মনিরুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক কায়সার জাহান চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব উল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী জানান, ছেলেমেয়েরা কথা বলে অর্ধেক বাংলা আর অর্ধেক ইংরেজিতে। এটি দূর করতেই এই উদ্যোগ।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. ইকবাল বলে, ‘মহান একুশের দিনে আমরা মায়ের ভাষাকে শুদ্ধভাবে বলার শপথ নিলাম।
এদিকে এর আগে ভোর সকালে ইউনিয়নের একমাত্র শহীদ মিনারে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ, সাবেক চেয়ারম্যান ছুরুত আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপি, এস.এম হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সৈনীকলীগ, হাফেজ আহমদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবলীগ, হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, আবদুল মালেকের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবদল ও দিদারুল আলমের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে বিকেল ৪টায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে মহান একুশের আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুঠোফোনে দেওয়া বক্তব্যে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, একুশ আমাদের চেতনা, দাবি আদায়ের শক্তিও। একুশে ফেব্রুয়ারিই বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার, স্বাধীনতা আদায়ের লড়াই করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক তানজীদ রায়হান, ক্যাম্পাস কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল, ছাত্রলীগ নেতা সুমন নাথ, রাজিব নাথ, ইব্রাহীম সিকদার, জিয়াউর রহমান, নাজিম উদ্দিন, জাহিদ উল্লাহ, অওয়াহিদুল্লাহ, আজিজ মওলা, মোহাম্মদ সেলিম প্রমূখ।