নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু :
রামুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) চ্যাম্পিয়ন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ফুটবল দল। সোমবার (১৬ মে) বিকালে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বিজয়ীদের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তোলে দেন। রামু উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ইউএনও প্রণয় চাকমা এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার বের করার লক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টূর্ণামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই, খেলাধুলার বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে আসছেন। ফলে ফুটবল, ক্রিকেট সহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই টূর্ণামেন্ট গ্রামগঞ্জের সর্বত্র সারা ফেলেছে। খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানরা। বিপদগামী না হয়ে সঠিক পথের দিশা পাচ্ছে। একদিন এই খেলোয়াড়রা দেশসেরা হিসেবে প্রতিষ্টা পাবে।
রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ফুটবল দল ১-০ গোলে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন ফুটবল দলকে পরাজিত করে।
টূর্ণামেন্টে সুশৃঙ্খল দলের ট্রফি অর্জন করে কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন ফুটবল দল। ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ফুটবল দলের রিদোয়ান ম্যান অবদ্যা টূর্ণামেন্ট ও খোরশেদ ম্যান অবদ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন। রানার্সআপ খুনিয়াপালং ইউনিয়ন ফুটবল দলের হাতে ট্রফি তোলে দেন, ইউএনও প্রণয় চাকমা।
রামুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনা পারভীন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হক, রামু প্রেসক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ প্রমুখ।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রামুতে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলায় নির্ধারিত সময়ের প্রথমার্ধের ৮ মিনিটে গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেয় ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ফুটবল দলের খোরশেদ (১৯ নং জার্সি)। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে খুনিয়া পালং ইউনিয়ন ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। খেলার শেষ বাঁশি পর্যন্ত আর কোন দল গোলের সুযোগ পাইনি। ফলে খেলা নিষ্পত্তি হয়ে ১-০ গোলে।