মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। তবে বুধবার দেশটির দৈনিক আল-আনবা পত্রিকায় এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকে। কারণ, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কুয়েতের শ্রমবাজার ফের বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়েছে। তবে পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এমন খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আবদুল লতিফ।
বুধবার রাতে লেবার কাউন্সিলর আবদুল লতিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২০১৪ সালের প্রথম দিকে কুয়েত বাংলাদেশের জন্য তার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা পর থেকে এখন পর্যন্ত শ্রমিক নিয়োগে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ অনুমতি দরকার হয়।’
প্রায় ছয় মাস আগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শুধু যারা গৃহশ্রমিক তাদের ক্ষেত্রে এই অনুমতি প্রয়োজন হবে না। কিন্তু তারা এই সপ্তাহে এই প্রঞ্জাপন বাতিল করে আবার বিশেষ অনুমতির বিষয়টি বহাল করে। তবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে কোনও বিধনিষেধ আরোপ করা হয়নি।
আল-আনবা পত্রিকার খবরে বলা হয়েছিল, কুয়েতের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট বিভাগের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি শেখ মাজেন আল জারাহ দেশটিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত সপ্তাহের শেষদিকে কুয়েতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দুই লাখে পৌঁছানোয় সোমবার তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে নতুন করে আর বাংলাদেশিদের কুয়েতে নেওয়া হবে না।
এর আগে ২০০৭ সালে একবার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় কুয়েত। তবে ২০১৪ সালে ফের এটি চালু হয়।