নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে মসজিদ নির্মাণের জন্য রড়-সিমেন্ট সহ নির্মাণ সামগ্রী না কিনে অন্য দোকান থেকে ক্রয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন স্থানীয় গুটি কয়েক যুবকেরা। তারা মসজিদ নির্মাণে বাঁধা দিয়ে ক্ষান্ত হননি নির্মাতাদের প্রাণ নাশেরও হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ওইসব যুবকেরা দলবদ্ধ হয়ে মসজিদের জন্য জমিদাতা ও ভবন নির্মাণ ব্যয়ে অর্থদাতাদের বিরুদ্ধেও উঠে পড়ে লেগেছেন যাতে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা না যায়।
এলাকাবাসী জানান, সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুরা ষ্টেশনের পশ্চিম পাশের প্রধান সড়ক লাগোয়া আরকে নুরুল আমিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খালী জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন কোরালখালীর বাসিন্দা ও ইতালী প্রবাসী আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা জোনাইদ সোবহান। তিনি নিজের নামীয় ও দখলীয় বিএস খতিয়ান নং ২১৯১, এর ৫৩২২, ৫৩২৩ ও ৫৩২৪ দাগের ২২ করা বা প্রায় সাড়ে সাত শতক জমি মসজিদের নামে দান করেন এবং মসজিদ ভবন নির্মাণের জন্য নকশা তৈরি করে প্রায় ৩০লাখ টাকা পর্যন্ত সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু উপরে উল্লেখিত ব্যক্তির দোকান থেকে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় না করায় মসজিদ নির্মাণে বিরোধীতা শুরু করে দেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
স্থানীয় লোকজন ও আর.কে নুরুল আমিন চৌ. উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কমিটি মিলেমিশে ১৩ আগষ্ট সমজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন এবং মাটিও ফেলা হয়েছে। কিন্ত্র এলাকার ওই নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসী নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বখাটে গত কয়েকদিন ধরে দলবদ্ধ হয়ে এলাকায় মসজিদ নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে এবং মসজিদ নির্মাণকারীদের বিরোদ্ধে উস্কানীমুলক বক্তব্য ও মানববন্ধন করে জনগনকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আর.কে নুরুল আমিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিদ্যালয়ের জমিতে মসজিদ নির্মাণ হচ্ছেনা। মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে বাইরের জমিতে। এ মসজিদটি নির্মাণ করা হলে স্থানীয় লোকজনসহ অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকসহ অনেকে নামাজ আদায়ের সুযোগ হবে।