দেশব্যাপী ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি কাটাতে ব্যস্ত থাকবেন দেশের অধিকাংশ মানুষ।কক্সবাজারেও প্রতিদিন গড়ে এক লাখের বেশি পর্যটক অবস্থান করবেন বলে আশা করা যায়।
তাই শহরের হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসগুলোর কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও বাংলোগুলোতে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ অতিথির রাত যাপনের ব্যবস্থা আছে। পর্যটন নগরী হিসেবে অতিথি ধারণ ক্ষমতার এই সংখ্যা হয়তো যথেষ্ট নয়।
কক্সবাজারগামী পর্যটকরা কেবল শহরের সমুদ্রসৈকতেই ঘুরে বেড়ান না; পাশাপাশি ইনানীর পাথুরে সৈকত, হিমছড়ির পাহাড়ি ঝরনা ও দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি, টেকনাফের মাথিনকূপ, কুদুমগুহা, নেচার পার্ক, নাফ নদীর জালিয়াদ্বীপ, মিয়ানমার সীমান্ত, প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধপল্লিসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেন।
বখাটেদের উৎপাত, টমটম ও রিকশা ভাড়া নিয়ে চালকদের দৌরাত্ন, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের খারাপ আচরণ, চুরি ও ছিনতাই, কক্ষ ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়, রেস্তোরাঁয় খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় এসব অভিযোগ পুরনো।এসবের সাথে কক্সবাজারের নাম-বদনাম জড়িয়ে আছে। পর্যটকদের ভ্রমণকে নিরাপদ এবং আনন্দময় করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
লাবণী পয়েন্ট ছাড়া ১১০ কিলোমিটার সৈকতের অন্য কোথাও গোসলে নামার ক্ষেত্রে আরোপিত বিধি-নিষেধ পর্যটকদেরও মানতে হবে। আমাদের আনন্দ-বিনোদন প্রয়োজন আছে কিন্তু তা জীবনের চেয়েও কিছুতেই বড় নয়। গোসলে নামার আগে পর্যটকদের জোয়ার-ভাটার সময় দেখে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। জোয়ারের সময় সৈকতে সবুজ পতাকা ওড়ানো থাকে। তখন সৈকতে নামা যায়। ভাটার সময় ওড়ানো থাকে লাল নিশানা। তখন সমুদ্রে নামা বিপজ্জনক।
আমরা আশা করি এবারের ঈদ আনন্দে বিষাদের কোন থাবা থাকবেনা।ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে জনে জনে।