রামুতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতে গুরতর আহত মোহাম্মদুল হক (৩০) রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দেয়াংপাড়া এলাকার আহমদ হোছনের ছেলে।
রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২ টার দিকে রাজারকুল দেয়াংপাড়া স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোহাম্মদুল হককে মূমূর্ষু অবস্থায় রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মোহাম্মদুল হক জানান- একই এলাকার মৃত মো. ইসলামের ছেলে দিদার আলমের সাথে তিনি যৌথভাবে ব্যবসা করতেন। রাত আটটার দিকে ব্যবসায়িকভাবে তিনি দিদার আলমের কাছ থেকে পাওনা টাকা দাবি করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ১২ টার দিকে দিদার আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে মোহাম্মদুল হককে বাড়ি থেকে ডেকে স্টেশনের পাশে নিয়ে যান। সেখানে সাইফুল ইসলাম এবং পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সাইফুলের ভাই নিশাত, বাবা দিদার আলম ও চাচা আবদুর রহমান পরিকল্পিতভাবে মোহাম্মদুল হককে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ছুরিকাঘাত করে মোহাম্মদুল হককে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় পাশর্^বর্তী এক পানের দোকানদার চিৎকার দিলে মোহাম্মদুল হক সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এরপরও সাইফুলের ছুরির আঘাতে মোহাম্মদুল হকের বাম হাত কেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মূমূর্ষু অবস্থায় মোহাম্মদুল হককে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ছুরিকাঘাতের ফলে তার হাতে ১৪টি সেলাই দিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কালা মিয়া জানান- রাত আটটার দিতে দিদারের সাথে মোহাম্মদুল হকের কথা কাটাকাটির সময় তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন। এমনকি তিনি সহ স্থানীয়রা তাদের শান্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে রাতে শুনতে পান দিদারের ছেলে সাইফুল বাড়ি থেকে ডেকে মোহাম্মদুল হককে ছুরিকাঘাত করেছে। এটা চরম দূঃখজনক। অপরদিকে এ ঘটনায় আহত মোহাম্মদুল হকের পরিবার থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে রামু চৌমুহনী বৌদ্ধ মন্দির সড়কে ২ বৌদ্ধ যুবককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িতদের এখনো চিহ্নিত বা আইনের আওতায় আনা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আহত ওই দুই যুবক। এরই মধ্যে আরো এক যুবককে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।