রামুতে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রামু জোয়ারিয়ানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা।
টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, মঙ্গলবার সকালে জোয়ারিয়ানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ৫-১১ বছর বয়সের সব শিশুকে টিকা প্রদান কার্যকর করা হবে। ওই বয়সের শিশুকে টিকা দিতে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে দ্রুত কোভিড-১৯ টিকার রেজিস্ট্রেশন করে, স্ব স্ব বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া আরো বলেন, দেশব্যাপী ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরই আওতায় রামুতে ১৩ দিনের কর্মসূচি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে ১২ দিন সহ ১৩ দিন শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. রিপন চৌধুরী, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাসান ভূইয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, জোয়ারিয়ানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আওরঙ্গজেব টিপু, স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) দর্পণ বড়ুয়া, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক অরিন্দ্র বড়ুয়া ও রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ভীতিকর ও অনিশ্চিত এক পরিস্থতি তৈরি করেছে। তাই প্রত্যেক শিশুকে টিকা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে। টিকা জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে। আমাদের শিশুরা যখন অন্য কারো সাথে মেলামেশা করবে, তখন রোগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে সে।
প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফল টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি যথাসম্ভব কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরি করে, রামু উপজেলার ৫-১১ বছর বয়সের সব শিশুকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। এটা সরকারের অনেক বড় প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এরফলে আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরো নিশ্চিত হবে।