যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত দুই নেতা সোমবার সকালে বৈঠকে বসেন, যার ছবি পিআইডি প্রকাশ করেছে। খবর বিডিনিউজের।
নিজ নিজ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামী শেখ হাসিনা ও সু চিকে বৈঠকে আন্তরিকভাবে কথা বলতে দেখা যায়। দুজনের বাবাই ছিলেন প্রতিবেশী দেশ দুটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হয় বলে পিআইডি জানিয়েছে।
দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসানের পর মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরলেও সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান হতে পারেননি সু চি। তিনি উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে সু চির বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের শরণার্থী নিয়ে সমস্যা রয়েছে। মিয়ানমারের ৫ লাখের বেশি মুসলিম নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে কয়েক দশক ধরে।
কানাডা সফর শেষে রোববারই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
নিউ ইয়র্কে প্রথম কর্মসূচিতে সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের ওপর সাধারণ পরিষদের প্ল্যানারি বৈঠকে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। এরপর তার সঙ্গে সু চির বৈঠক হয়।
বিকালে জাতিসংঘে ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেইফ, রেগুলার অ্যান্ড অর্ডারলি মাইগ্রেশন: টুওয়ার্ডস রিয়ালাইজিং দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাচিভিং ফুল রেসপেক্ট ফর দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্টস’ শীর্ষক গোলটেবিলে কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
মঙ্গলবার তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে হোটেল ম্যারিয়ট ইস্টসাইডে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আয়োজিত কাউন্টার টেররিজমের উপর এশিয়ান লিডার্স ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত উদ্বাস্তু বিষয়ক একটি বৈঠক এবং এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও শেখ হাসিনার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত গ্লোবাল ডিল ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।
বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কে হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবং পরদিন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ২২ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ায় যাবেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে।
সফর শেষে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।