মনোনগর:
নদী ও নারী এক হতে দেখি না আর, নগর ও নারী গেড়েছে
ঐকিক সভ্যতা। নগরে ঘ্রাণ নেই, থাকবে কী আর নারীর
মনোনগর হতে ওই দু’নিয়ামককে তালাক দিয়েছি বহু আগেই
তাই, এক বাক্যে বলতে পারি
বিষাদীয় শূণ্যতার মাঝেও আছি বেশ
এভাবে কাটাবো চিরায়ত সময়-মহাকাল
একদিন নারী ও নগরীর নগ্নতা নস্যাৎ করে ঠিকই
বিনির্মাণ করবো সুন্দর
প্রাণময় বিশ্বায়ন
বিশ্ববুকে এঁকে দেবো তখোন-
সবুজাভ-অলৌকিক স্থায়ী সত্যায়ন
*************************************************************************************************
ওমবাগানে চাঁদের প্রহর
সকলের ইচ্ছের মতোন নিজেকে বদলাতে পারিনি
বলেই পাহাড়ের কাছে নদীর ধারে কখনো তারি বনে
চাঁদের প্রহরে ওমবাগানে টু মারি, আমি একা নয় আরো অনেকেই
বিষন্ন উচ্ছ্বাসের ঝড় তুলে
কেবলি নিজেকে নিজের মতোন স্বরুপরেখার অতলতা
এমনি সময়ে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার আত্মোন্মোচন হয় তখন
অন্য অনেকের মতোই ক্ষণিক রুপান্তরিত হয়
আপেক্ষিক তরল সত্তায়…
পেঁচার চোখ নিবিড় পর্যবেক্ষণ কীটপতক্ষের দিকে
অত:পর…
গাণিতিক নিয়মে পুনরায় ফিরে আসি
জীবন ডেরায়
মস্তিস্কের কোষে কোষে ক্ষরণ রেখা
তবুও যেন নিজের প্রতি নিজের অভিমান
আহা! সেই সময়টি কেন স্থির নয়
ভাবনার ধুম্রজালে বিচ্ছুরণ ঘটে
লোহিতকণার স্রোত প্রবাহে
মানুষ ও মনুষ্য বাস্তবতা এক নয়
ভিন্নতর অন্যতর
*************************************************************************************************
নিরুদ্দেশ যাত্রা
(মানিক বৈরাগীর সাথে সহমত পোষণ করে)
খোলা আছে স্বপ্নের ফকফকা জোসনা হাসবে
যৌবন জেগে ওঠবে আলোয় আলোয়
কুয়াশার জলে ভরে ওঠবে
সোনালী শষ্যরে মাঠ
ধানের মৌ মৌ গন্ধে উঠোন নবান্ন উৎসব
বৌ ঝিয়ের হঅলা গীতে পাখিরা গেয়ে উঠে
সোনালী দিনের গান
রেজুর আঙ্গিনায় টেংরা পুটি শৈল-পলই মাছের বাহার
পূর্ণিমারই পূর্ণ আলোয় জারি-সারি-কাউয়ালি আর মাইজভান্ডারী
বেহালা আর দমার টানে…
পরীবানু ধলিবগা বালিহাঁস মন মজাইছে
আইল্যা পুয়ার বাঁশির সুরে
পৌষ ফাগুনরে এমন রাতে দক্ষিণা
হাওয়ায় হাওয়ায় আজাদ বসু উড়াল মেরে
পদ্বাবতীর দেশে হ’ল ফানাফিল্লাহ……….
*************************************************************************************************
অস্থির
মনুষ্য কাঠামোই কেবল স্হির
অদেখা যন্ত্রণায় কাঁদে মন, ভেতরে অস্থির
বুকের গহীনে হৃদপৃন্ড ছটফটায় চিত্কারে
এখানে-ওখানে ঘুরে ফিরে খুঁজি কারে
নাঠাইহীন ঘুড়ি হয়ে উড়ি আকাশে
বিশ্বজগত্ তন্ময়ে ঘুরি ঘুণিবেগ বাতাসে
আমি আর পারি না আত্মাকে রাখতে ধরে
বলো ঈশ্বর-বসে না কেন মন ঘরে
*************************************************************************************************
হৃদয়ের বোতাম
অবোধ অঙ্গের হিল্লোল নৃত্যের ছায়া
এখনো জমে আছে হৃদয়ের বোতামে
স্তন ঘেঁষে পড়ে থাকা রক্তমান জমিটুকু
আজো চেয়ে রয় আগের মতোন
আলতায় রঙিন দু পায়ের চঞ্চল কিনারা
তেজস্বী আলো ছড়ায় ওই গত নিয়মে
প্রসাধনী মাখা মুখে লালচে-কালো টিপ
ললাটে ভাসে অদ্যাবধি-
ইঙ্গিত করে কোন এক অসঙ্গায়িত রহস্যের
চাঁদ-সূর্যের পায়ে পায়ে
আমরাও হয়ে যাই সমবয়সী
তবু চেয়ে থাকে স্মৃতির পূরাণ
বেঁচে থাকে মানবাত্মা-বিশ্বমান
*************************************************************************************************
রহস্য
বেপথের পথিক, তবু জেনো বন্ধু তোমাদের চেয়েও
জেনেছি ভুলে ভরা বেশ্যালয় অধিক
আমি হারিয়ে যেতে চাই নিজের পথে
খুন হবো তবু ডরাইনা মৃত্যুর রথে
হারিয়ে যাওয়ার অমীমাংসিত
উপাখ্যানে বাড়িয়ে তুলতে জানি নিজেকে
তোমাদের পাবো না জানি
তবে ঠিক পাবো পরমত্বকে
অন্ধবধির রহস্যাবৃত বিশ্বকে
সবকিছু ভুলতে চাই, ভুলতেও পারি
তবে জেনো-
কিছু পারিনি এখনো