হেডফোন ও ইয়ারবাড ব্যবহারে উচ্চস্বরে গান শোনার কারণে বিশ্বের ১ বিলিয়ন মানুষ শ্রবণশক্তি হারাতে বসেছেন। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, এরই মধ্যে হেডফোন ব্যবহারের কারণে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন বিশ্বের ৪৩০ মিলিয়ন মানুষ বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিএমজে গ্লোবাল হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার গবেষকসহ আন্তর্জাতিক দলটি দাবি করেছে, সারা বিশ্বের সরকারের উচিত জরুরিভাবে ‘নিরাপদ শ্রবণ’ নীতিগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে শ্রবণ স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য।
গবেষকরা বলছেন, হেডফোন ও ইয়ারবাডের মতো ব্যক্তিগত ইয়ার ডিভাইস ব্যবহার করা ও উচ্চস্বরে গান শোনার কারণে তরুণরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে আছে।
পূর্বে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, হেডফোন ব্যবহারকারীরা প্রায়শই ১০৫ ডেসিবেল (ডিবি) পর্যন্ত ভলিউম বাড়ায়। যা গড় শব্দের মাত্রা ১০৪-১১২ পর্যন্ত। অথচ এটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৮০ ডিবি ও শিশুদের জন্য ৭৫ ডিবি এর অনুমতিযোগ্য।
গবেষণায় আরও জানা গেছে, উচ্চস্বরে হেডফোন কিংবা ইয়ারবাডে গান শোনে ২৪-৪৮ শতাংশ কিশোর ও তরুণরা। তারা সবাই অকালে শ্রবণশক্তি হারাতে বসেছেন বলে ধারণা গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের। তাই সবারই উচিত হেডফোন ব্যবহারে সতর্ক হওয়া ও উচ্চস্বরে গান শোনার অভ্যাস এড়ানো।