কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেছেন- বঙ্গবন্ধু আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্র ও সংবিধান দিয়েছিলেন। রাষ্ট্র বিনির্মাণে মৌলিক কাঠামো নির্মাণ করে দিয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের যে কোন দূর্ভোগ-দূর্দশায় জেলা প্রশাসন কাজ করছে। কারো কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলেই জেলা প্রশাসকের কাছে আসবেন। জেলা প্রশাসকের দুয়ার সবার জন্য সবসময় খোলা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু উৎসবে ফুটে উঠেছে বাঙ্গালী সংস্কৃতির ঐহিত্য। এখানে স্বত্বঃস্ফ‚র্ত মানুষের অংশগ্রহন, প্রাণের উচ্ছ¡াস, সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রন এটাই প্রমাণ করে।
এরকম উৎসব যত আয়োজন হবে তত আমরা কৃষ্টি কালচারের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবো। এরফলে সামাজিক অপরাধ দূর হবে। এ উৎসব প্রাণের মেলায় রুপ নিয়েছে। এ ধরনের উৎসব আয়োজন অব্যাহত রাখতে হবে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় রামুর বঙ্গবন্ধু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান একথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির নেতৃত্বে রামু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাত দিনব্যাপী এ বঙ্গবন্ধু উৎসব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ উপস্থাপন ও বাংলা বিজয়ের ৫১ বছর উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু উৎসবের চতুর্থ দিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বঙ্গবন্ধু উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ আলম।
বঙ্গবন্ধু উৎসবের মহাসচিব উপজেলা যুবলীগ সাধারণ নীতিশ বড়ুয়া সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা, রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল হোসাইন।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মহিলা সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মা, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম কবীর মেম্বার, মীর কাশেম হেলালী প্রমুখ।
সংগীত প্রযোজক বশিরুল ইসলামের পরিচালনায়, সংস্কৃতি কর্মী তাপস মল্লিকের সঞ্চালনায় রাত ৮টা থেকে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু উৎসবের চতুর্থ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় পরিবেশনায় ছিল, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী,
রামুর নবসৃজনী খেলাঘর আসর, চকরিয়ার অন্তরা সাংস্কৃতিক শিক্ষা কেন্দ্র, কোমলমতি শিশু নিকেতন ও উখিয়ার শ্যামল প্রকৃতি আর্ট স্কুল’। একক কবিতা আবৃত্তিতে ছিলেন, মাস্টার মোহাম্মদ আলম, অরণ্য শর্মা, স্বরজিৎ বড়ুয়া শক্তি, নিরুপমা বড়ুয়া বেবি, নাজনীন আকতার মেরি। একক গানে ছিলেন, তাসনোভা মেহজাবিন আনিকা, ইসমাম কবির, অর্পণা রুদ্র রিতু, পথিক বড়ুয়া, ইমন বড়ুয়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন, গিটারে এইচ বি পান্থ, আশেক, অক্টোপ্যাডে সজল দে, কীবোর্ডে সৈকত নন্দী, তবলায় রাজিব বড়ুয়া। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রামু স্টেডিয়ামে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব’।