সভায় জানানো হয়, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের ন্যায় রামুতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৫ হাজার শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রামু উপজেলার এগার ইউনিয়নের ইপিআই টিকা কেন্দ্রে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
রামুতে ৬৩ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল। শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ারুল হোসাইন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু শামীম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপন চৌধুরী, রামু প্রেসক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) দর্পণ বড়ুয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন রামু উপজেলার কেয়ারটেকার মো. আবু বক্কর ছিদ্দিকী, ইপিআই টেকনোলজিস্ট আলী আকবর প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের ন্যায় রামুতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৫ হাজার শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রামু উপজেলার এগার ইউনিয়নের ইপিআই টিকা কেন্দ্রে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, ভিটামিন এ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়। ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়া ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
তিনি বলেন, রামুতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে স্কুল, মাদ্রাসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এবং বাজার ও জনসমাগম স্থানে প্রচারণা চালানো হবে। রামু প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করেও ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর বার্তা পৌঁছে দেয়া হবে।