লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের (ধুইল্ল্যা পাড়ায়) মৃত মালু মিয়ার বিধবা পত্নী মরিয়ম বিবি (৭০) লোহাগড়া উপজেলার শহিদ ও তৌহিদ বাহিনীর অত্যাচারে আজ ভিটেমাটি ছাড়া হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অসহায় বিধবা মরিয়ম বিবি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর পূর্বে তার পরিবার সরকারের নিকট থেকে ৪ একর ৫০ শতক জমি বন্ধোবস্তি পওয়ার পর তথায় বসত বাড়ি ও বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও গাছগাছালির বাগান সৃজন করে বসবাস করে আসছে। আরও সেখানে ১২ টি পরিবারের বসবাস করছে, আর তাদের দীর্ঘ দিনের চলাচল এর রাস্তা বন্ধ করে দিল তারা।
সম্প্রতিতে পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার মোঃ শহিদুল ও মোঃ তৌহিদ বাহিনী তার বসত বাড়ি ও সৃজিত বাগান জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য তাদের বাহিনীর লোকজন নিয়ে আগুন দিয়ে বাগান পুড়িয়ে দেয় এবং জমি জবর- দখলের পায়তারা চালায়।
বিধবা মরিয়ম বিবি আরো জানান, তার একমাত্র ছেলেকে শহিদ ও তৌহিদ বাহিনীর লোকজন গুম করে রাখায় আজও ঐ ছেলের সন্ধান মিলেনি। বিধবা মরিয়ম বিবি জানায় শহিদ/তৌহিদ বাহিনী তার চলাচল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সে গৃহ বন্ধি হয়ে পড়েছে এমন কি, উক্ত বাহিনীর হুমকির কারণে আজ সে ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে পার্শ্ববর্তী গজালিয়া ইউনিয়নে মেয়ের জামাতার আশ্রয় নেন এবং জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে বিধবা মরিয়ম বিবি স্হানীয় প্রসাশনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
১৬ মার্চ, বৃহসপতিবার বিকেলে সরজমিনে অনুসন্ধান গিয়ে বর্ণিত এলাকার সর্দার, মেম্বার এলাকাবাসীর সাথে আলাপ কালে বিধবা মরিয়ম বিবির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ভোক্তভোগী রজব আলী ও জাহাঙ্গীর জানান, আমাদের সেখানে ১২ টি পরিবারের বসবাস করছে, আর তাদের দীর্ঘ দিনের চলাচল এর রাস্তা বন্ধ করে দিল তারা। আরও আমাদের ভিটেমাটি দখল নিতে পায়তার ও প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে তারা।
অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের জায়গা আমরা কেন দিব,আমাদের জায়গা দখল করে রেখেছি। তারা আমাদের মামলার অভিযুক্ত আসামি।
এ বিষয়ে স্থানীয় রবিউল হোসেন সর্দার বলেন,এরা তাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ও মহিলারা যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলাম, তাদের ডাকছিলাম কিন্তু তারা আসেনি। সেক্ষেত্রে আমি উচ্চ আদালতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য লিখিত দিয়েছি। আর বিধবার বাগান পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে এখনও অভিযোগ পাইনি।