বান্দরবানের থানচি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৫ শে মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে বাজারের প্রায় ৫০টি দোকান পুড়ে গেছে।
অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মার্মা জানান, সকালে হঠাৎ করেই বাজারের এক দোকান থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়, আর মুহূর্তেই বাজারে ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। থানচি বাজারের ব্যবসায়ী ক্যসিংশৈ বলেন, আজকে যদি থানচিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকতো তাহলে হয়তো থানচি পুরো বাজার আবারও ভস্মীভূত হয়ে যেত। খুব দ্রুত সময়ে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে চলে আসার কারনে অনেক দোকানঘর, সম্পদ ও জানমাল রক্ষা পেয়েছে। থানচিতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের কারনে দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা এসে দেড় ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আমরা ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
ব্যবসায়ী করিম উদ্দীন বলেন- গত ২০২০ সালে যখন আগুনে থানচি বাজারের প্রায় ২০০ টি দোকানঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়, তখন থানচি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ছিল না বিধায় বান্দরবান এবং আলীকদম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে থানচি বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাই তখন থানচি উপজেলা বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। এখন বাংলাদেশ সরকারের সু-ব্যবস্থাপনা এবং থানচি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের ভয়াবহতার হাত থেকে আজকে থানচি বাজার রক্ষা পেল।
থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা: আবুল মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অগ্নিকান্ডের সংবাদ পাওয়ার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় জনসাধারণ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ব্যবসায়ীদের হিসাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে সময় প্রয়োজন হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৭শে এপ্রিল বান্দরবানের থানচি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় ২০০টি দোকানপাট, আর সম্প্রতি ২২শে মার্চ ২০২৩ তারিখে থানচি উপজেলার বলিপাড়া বাজারে আগুন লেগে ৫৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।