বড়রা যেমন-তেমন থাকে, শিশুদের জন্য খুবই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় অতিরিক্ত গরম। অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুর ত্বকে লাল লাল র্যাশ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা এর নাম দিয়েছেন হিট র্যাশ। গরমের কারণে ঘাম হলে র্যাশের স্থানে জ্বালা হয়ে তাকে। ফলে শিশুরা আরও বেশি অস্বস্তিতে ভোগে এবং কান্নাকাটি করে।
একেবারে ক্ষুদে থেকে স্কুলগামী, যেকোনো বয়সী শিশুরই দেখা দিতে পারে এই হিট র্যাশের সমস্যা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এই র্যাশ দেখা দিতে পারে। পেট, বুক, ঘাড়, নিতম্ব ও ভাঁজযুক্ত স্থানে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। শিশুরা তার কষ্টের কথা হয়তো বুঝিয়ে বলতে পারে না। তাই অভিভাবক হিসেবে তাকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই। জেনে নিন এই গরমে শিশুর হিট র্যাশ হলে করণীয়-
চুলকাতে দেবেন না
হিট র্যাশের স্থানে নখের স্পর্শ যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ নখের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই হিট র্যাশ হলে শিশু যেন সেখানটাতে না চুলকায় সেদিকে নজর রাখবেন। ঠান্ডা পানিতে নরম ও পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতো করে মুছে দিতে পারেন। এতে শিশু আরাম পাবে।
পাউডার ব্যবহার করবেন না
অনেকে গরমে শিশুর শরীরে পাউডার ব্যবহার করেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাউডার ব্যবহার করলে তা ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে সমস্যা না কমে আরও বাড়তে থাকে। তাই ঘামাচিনাশক পাউডার ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বরং শিশুর কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
হালকা পোশাক
বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও হালকা ধরনের পোশাক পরার অভ্যসা করতে হবে। এতে গরমে সুস্থ থাকা সহজ হবে। পোশাকের জন্য বেছে নিতে পারেন সুতির কাপড়। তবে এসির নিচে বেশি সময় থাকলে শিশুর গায়ে একটু মোটা পোশাক রাখুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসের মাধ্যমে ঘাম শুকিয়ে নিলে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখলে ঘাম জমার ভয় থাকে না। ফলে আশঙ্কা কমে হিট র্যাশের। ছোট্ট শিশুকে অযথা চাদর বা কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখবেন না। এতে ঘামের কারণে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রতিদিন গোসল
অনেকে শিশুদের প্রতিদিন গোসল করান না। এমনটা করা যাবে না। এই গরমে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান। শিশু যদি স্কুলে যায় তবে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গোসল করাতে নিয়ে যাবেন না। প্রথমে ঘাম মুছে দিন। এরপর তাকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলুন। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তারপর গোসল করান। গোসলের সময় শিশুর ত্বকের উপযোগী সাবান ব্যবহার করুন।
প্রয়োজন ছাড়া রোদে নয়
এখন রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। তাই প্রয়োজন ছাড়া শিশুকে রোদে বের হতে দেবেন না। বিশেষ করে সকাল দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। নয়তো হিট র্যাশের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া কোনো মলম বা ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট