লামা পৌর এলাকা ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে । তার রুপ দেখে পথচারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছেন। কিছুক্ষণ উপভোগ করছেন মন মাতানো রুপ।
সাধারণত গ্রীষ্মকালের শুরুতে এ ফুল ফোটে। প্রকৃতি সাজে কৃষ্ণচূড়ার রুপে। প্রকৃতিপ্রেমীরা এ সৌন্দর্য দেখতে ভীড় করেন তার শীতল ছায়ায়। কৃষ্ণচূড়াকে উপেক্ষা করার জো নেই কারো। ভাবুকমনে সে দোলা দেয় বার বার। তার মুগ্ধতা আবেশে জড়িয়ে কবি কবিতা লেখেন, ছড়াকার লিখেন ছড়া,বংশীবাদক বাজান বাঁশি। গায়ক গেয়ে উঠেন মনের অজান্তে। তাদের এ ব্যাকুলতাতেই যেন কৃষ্ণচূড়া জীবনের সার্থকতা।
কয়েকদিন ধরে লামা পৌর এলাকার উপজেলা পরিষদের প্রবেশমুখে,আনসার ব্যাটালিয়ন ভবন,লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এ রক্তমাখা কৃষ্ণচূড়া যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।পৌরবাসী সেই সৌন্দর্যের ডাকে দাবদাহের মধ্যে সবসময় জড়ো হয়ে কৃষ্ণচূড়াময় পরিবেশ উপভোগ করছেন তারা।
পুরো লামা উপজেলার পথে প্রান্তে দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার। সড়কের মোড়ে মোড়ে এমকি বিভিন্ন ভবন ও অফিস পাড়ায় গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়া লাল আভা সৃষ্টি করেছে,বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
কৃষ্ণচূড়া ভারত ও পাকিস্তানে গোলমোহর নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এ ফুলের আর্বিভাব ঘটে চৈত্র শেষের দিকে কিংবা বৈশাখে। চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় রক্ত মাখা রুপ,শুধু শহরে নয়, গ্রামের মানুষের দৃষ্টিসীমানার স্থান করে নেয় কৃষ্ণচূড়া। গাছে গাছে ফুটে থাকা লাল ফুল এলাকার প্রকৃতিকে রাঙ্গিয়ে তুলেছে।
লামা উপজেলা পরিষদ,লামা হাইস্কুল,মাতামুহুরী ব্রিজের মোড়ে,টিটি এন্ড ডিসি,চম্পাতলীর আনসার ব্যাটালিয়নসহ রাস্তার পাশে ও অন্যান্য স্থানে দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার।
গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দে বলেন, কৃষ্ণচূড়ার প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারি গাছ।গাছে গাছে লাল ফুলের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করে।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ আবু সায়েম বলেন,কৃষ্ণচূড়ার অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। বাত,বমি ও রক্তস্রাবসহ জ্বর-সর্দি -কাশিতে উপকারী। বিশেষ উপকারি হিসেবে গ্রীষ্মকালে ছায়া দান করে কৃষ্ণচূড়া।
তিনি আরও বলেন,সবার উচিত অন্তত একটি করে হলেও কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো। এতে একদিকে যেমন বাড়বে প্রকৃতির সৌন্দর্য, অপরদিকে ভেষজ চিকিৎসার উন্নতি হবে।