লামায় জল নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ মে) সকাল ১০টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ও জল নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট প্রকল্পের সহায়তায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব জহরুল ইসলাম,উপসচিব এস.এম. ইমরুল হাসান,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক এর মুহাম্মাদ খায়রুজ্জামান, জল নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক প্রকল্প এর পরিচালক এর প্রফেসর হাসান আল শাহী, নৃবিজ্ঞানের প্রফেসর জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.মুহাম্মাদ হাসান তারেক।
লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল (সভাপতিত্বে), ইউএনও মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম,এসিল্যান্ড এস.এম রাহাদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মা,বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল,দুই ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কী রাণী, মোঃ জাহেদ উদ্দীনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এর কর্মকর্তা,-কর্মচারি,ইউপি চেয়ারম্যান,সাংবাদিকসহ অনেকেই।
এসময় বক্তরা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম। এ জলবায়ু পরিবর্তন দেশের কৃষি, অবকাঠামো ও জীবনযাত্রার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, নদীভাঙন এবং জলাবদ্ধতা, মাটির লবণাক্ততা,শুক্লতা প্রভৃতির কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
পানি নিরাপত্তা বা জল নিরাপত্তা বলতে পানি বা জল ব্যবহারের ঝুঁকি সীমার মধ্যে থাকা অবস্থায় খাদ্য, জীবিকা এবং প্রজননের জন্য গ্রহণযোগ্য গুণমান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির নির্ভরযোগ্য প্রাপ্যতা বা লভ্যতা সুনিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশ উপযোগী বৃক্ষরোপণ, প্রাকৃতিকভাবে নদী,ঝিরি-ঝরণা রক্ষা ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রসংগত,জল নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে পানি, শক্তি, খাদ্য যোগসূত্রের সহনমাত্রা সম্পর্কিত একটি অধ্যায়। জল নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পটি লামা উপজেলায় আগামী দেড় বছর গবেষণা ও করনীয় নির্ধারনে কাজ করবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।