বান্দরবানের লামায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন হয়েছে। রবিবার ২৮ মে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
“জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধুর প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বের শান্তির জন্য সর্বোচ্চ পদক হলো ‘জুলিও কুরি’ পদক। বিশ্বের বরেণ্য ব্যক্তিরাই এ পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ, চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি), এসএম রাহাতুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান জাহেদ উদ্দিন, মিল্কি রানী দাশ, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জুবাইরা বেগম, পিআইও কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ছিল সংগ্রামের। তিনি ছাত্র অবস্থায়ই রাজনীতি-সচেতন ছিলেন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে এসে জড়িয়ে পড়েছিলেন সক্রিয় রাজনীতিতে। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের একজন অতি উৎসাহী কর্মী ছিলেন, কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসকগোষ্ঠীর বাঙালিবিরোধী তথা গণবিরোধী ভূমিকার কারণে অবস্থান পরিবর্তন করতে দেরি করেননি। তিনি ছিলেন ন্যায়ের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে। তার জীবন নিবেদিত ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নানামুখী তৎপরতায়। নিজের জীবনের সুখ-শান্তি হেলায় উপেক্ষা করেছেন। বাংলার মানুষের দুঃখ মোচনের লড়াইয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে ছিলেন বলেই তিনি ১৯৬৯ সালেই হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু”।