ভারতের হায়দারাবাদে টানা ৬৮ দিন উপবাসের পর এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার জন্য ওই কিশোরীর মা-বাবাকে দায়ী করছে সমাজকর্মীরা।
জৈন ধর্মাবলম্বী ওই কিশোরীর নাম আরাধনা সামদারিয়া। উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জৈন ধর্মে লম্বা সময় উপবাসের বিধান রয়েছে।খবর রাইজিংবিডির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, টানা ৬৮ দিন স্রেফ উষ্ণ পানি ছাড়া কোনো খাদ্যই গ্রহণ করেনি আরাধনা।
সমাজকর্মী আচায়ত রায় বলেন, ‘পুরো জাতির লজ্জিত হওয়া উচিৎ যে এখনো এ ধরণের রীতির চর্চা হয়। তার বাবার (আরাধনার) ধর্মীয় গুরু তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, মেয়ে উপবাস করলে ব্যবসায় অনেক বেশি মুনাফা হবে। আর এ কারণে তারা মেয়েকে দিয়ে উপবাস করিয়েছেন। মেয়েটিকে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কেবল পানি পান করতে দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো লবন বা লেবুও ছিল না।’
আরাধনার বাবা লক্ষী চাঁদ পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তিনি স্বপরিবারে হায়দারাবাদে বসবাস করেন।
আরাধনার মা মানষি সামদারিয়া অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মেয়ে আমাদের কাছে উপবাসের অনুমতি চেয়েছিল। ৫১ দিন পর তারা উপবাস ভঙ্গের জন্য আরাধনাকে বলেছিলেন। কিন্তু সে ভাঙ্গতে রাজী হয়নি।’
এ ঘটনায় পুলিশ আরাধনার বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ এনেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।