এক সময়ে পায়ে হাটা ও শুল্ক মৌসুমে ছোট গাড়ি ছাড়া চলাচলের উপায়ন্তর ছিলো না এ অঞ্চলের পাহাড়ী-বাঙ্গালি মানুষের। বর্তমানে রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ হওয়ায় বান্দরবান-চট্রগ্রামসহ সারদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও নতুন করে রাস্তাটি কাপেটিং নির্মিত হলে বদলে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বলছিলাম লামা উপজেলার গজালিয়ার ৬ মাইল হত নাজিরাম পাড়া হয়ে নতুন মুসলিম পাড়া ও রেমং মেম্বার পাড়া হয়ে ডিসি রোড় রাস্তার কথা।
স্থানীয় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দাবি, আজিজ নগর হতে গজালিয়া ইউনিয়ন এর ৬ মাইল নামক স্থান সংযোগ হওয়া কাচা, কিছু ব্রিক সলিং হওয়া রাস্তাটি কিছুদুর পরপর কাদা, খানাখন্দে ভরা,মধ্যে মধ্যে দুই তিন ব্রিজ ও কালভার্ট রয়েছে। এখানে রাংচংগ ত্রিপুর পাড়া,নাজিরাম পাড়া,অংতং পাড়া,রেমং মেম্বার পাড়া,মংথোয়াইচা পাড়া,আট মাইল মুসলিম পাড়া,১০ মাইল,উজিরাম পাড়াসহ প্রায় ১০/১২ গ্রাম বা পাড়া রয়েছে। এখানে পাঁচ হাজার অধিক মানুষের বসবাস। তারা কেউ কৃষক, মৎস্য,জুম চাষ শ্রমিক,চাকুরীজীবি,ছাত্র-ছাত্রীসহ নানা শ্রেনীর মানুষ রয়েছে। রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
সেক্ষেত্রে ৬ মাইল এর দক্ষিণ পাশ থেকে গজালিয়া ডিসি পর্যন্ত প্রায় ১০ কি.মি সড়কে রাস্তার কাপেটিং নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি।
সরেজমিনে এলাকাবাসী জানান, ১৩ জুলাই, বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের দূর্ভোগের সীমা নেই। এ অঞ্চলে এক সময়ে পায়ে হাটা ছাড়া গতি ছিল না,কিন্তু বর্তমানে তার পরিবর্তে রাস্তা নির্মাণ হলেও এখনো পুরোপুরি সেবা মেলেনি এলাকাবাসীর। তাই ৬ মাইল -নাজিরাম পাড়া-রেমং মেম্বার পাড়া -ডিসি রোড পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মান হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। বদলে যাবে এখাকার দৃশ্যপট।
বিশেষ করে অবহেলিত এ এলাকার সাধারন মানুষ,শিক্ষার্থী,ক্রেতামুখী মানুষ,কৃষক,শ্রমিক ও জনতা সকলের সুবির্ধার্থে এ রাস্তাটি নির্মান জরুরী হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক মোঃ খলিলুর রহমান,সুরেজ ও ম্রাথোয়াই পিপুরা জানান, রাস্তাটি সলিং হলে এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সহজেই পরিবহণ করা যাবে। ফলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শৈইথুইচিং মার্মা ও মংক্লা মার্মা জানান, নতুন রাস্তা নির্মান হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার জীবনযাত্রার মান বদলে যাবে। ফলে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হবে। এতে করে সাধারন মানুষ,ব্যবসায়িগণ অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হবে। তাই রাস্তাটি জনগুরুত্ব বিবেচনা করে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সাংসদ ও পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি এলাকাবাসীর।
এক্ষেত্রে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামাল উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের নজেজ এ আছে, ডিপিওতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্ষাকালে এগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনারাও তুলে ধরেন।