রামু পাবলিক লাইব্রেরী হবে সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মেধাচর্চার কেন্দ্র। পুণঃগঠন করে এই পাবলিক লাইব্রেরীকে পাঠ অভ্যাস চর্চার কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানাবে প্রজন্ম শিক্ষার্থীরা। আলোকিত মানুষের সহযোগিতায় আধুনিক পাঠ কেন্দ্র হবে, রামু পাবলিক লাইব্রেরী।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৪টায় রামু পাবলিক লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা এ সব কথা বলেন।
রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সহ-সভাপতি উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাছান ভূঁইয়া, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রামু উপজেলার সভাপতি মাষ্টার মোহাম্মদ আলম, রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ কে খান, ইঞ্জিনিয়ার তরুন বড়ুয়া, চিন্তন সম্পাদক খালেদ শহীদ, সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া, জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার’র সভাপতি শিপ্ত বড়ুয়া, আধাঁরমানিক গ্রন্থাগারের পরিচালক কফিল উদ্দিন, হাফেজ আবুল মঞ্জুর, মুহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, রামুর আলোকিত মানুষরাই ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই পাবলিক লাইব্রেরী। রামু পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিটি ধুলোকণায় মিশে আছে তাদের শ্রমের সার্থকতা। এটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। এই পাবলিক লাইব্রেরীকে আধুনিকতার ছোঁয়ায়, আবারও পূণঃজীবিত করতে হবে। লাইব্রেরী হলো শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সাথে সর্বদাই ভালো সর্ম্পক থাকে। আলোকিত মানুষের সব জ্ঞান জমা থাকে বইয়ের ভেতরে। বই হলো অন্তহীন জ্ঞানের উৎস। জ্ঞানের উৎসকে সমৃদ্ধ করতে হবে। রামু পাবলিক লইব্রেরীকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এ জন্যে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে সমৃদ্ধ করবো, রামুর আলোকিত মানুষদের নিয়ে। প্রজন্মকে লাইব্রেরীমুখী করতে উদ্যোগ নেয়া হবে। জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হলে, বই পড়ার বিকল্প নেই। যত বই পড়বো, ততই শিখবো। ভাল বই নিজেকে সৃজনশীল, নান্দনিক ও সুস্থ বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন হতে শেখায়। মনের যন্ত্রণা, দুঃখ ঘোচাতেও একটা জগতে যেতে হবে। সেই জগতটা হচ্ছে বইয়ের জগৎ।
রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবুল হক বলেন, কক্সবাজারে কবি-সাহিত্যিকদের সৃজনশীল কর্মে পূর্ণতা পাবে, রামু পাবলিক লাইব্রেরী। একই সাথে স্বনামধন্য লেখকদের বইও আমরা সংগ্রহ করবো। রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে পুণঃগঠন করতে, জ্ঞান পিপাসু মানুষদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।