আজ শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি। দেশ ব্যাপী যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন করবেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে আলোকসজ্জা, বুদ্ধপূজা দান, অষ্টশীল গ্রহণ, ধর্মদেশনা শ্রবণ, সূত্রপাঠ, ধ্যান অনুশীলন, প্রদীপ প্রজ্জলন এবং দেশ ও বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত উপাসনা সহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালিত হয়ে থাকে।
মূলত, সিদ্ধার্থ গৌতমের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি লাভ, রাজ্য-রাজত্ব পরিত্যাগ করে দুঃখমুক্তির পথ অন্বেষণে গৃহত্যাগ ও বুদ্ধত্ব লাভের পর পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশে বুদ্ধের সর্বপ্রথম ধর্ম প্রবর্ত্তন করার ঘটনা শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতেই ঘটেছিল। এ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই তিনমাস সময়কে বৌদ্ধরা বর্ষাব্রত হিসেবে পালন করে থাকেন। প্রতি অষ্টমী, অমাবস্যা এবং পূর্ণিমা তিথিতে উপাসক-উপাসিকারা উপোসথ শীল তথা অষ্টশীল গ্রহণ করেন। একইভাবে ভিক্ষুসংঘও আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরের দিন থেকে বর্ষাবাস অধিষ্ঠান করে থাকেন। বিনয়মতে, যে ভিক্ষু বর্ষাবাস পালন করবেন না তিনি কঠিন চীবর লাভ করতে পারবেন না। অপরদিকে যে বিহারে কোন ভিক্ষু বর্ষাবাস অধিষ্ঠান করেন না সে বিহারে কঠিন চীবর উদযাপন করা যায়না।