রামুতে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (৫ আগস্ট) রামু উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্কাউটস, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এইড ডি ক্যাম্প (এডিসি) হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।
সকাল ১১টায় শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা’র সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণধীর বড়ুয়া, রামু থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল হোসাইন, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন, রামু বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী, উপেজলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুবীর বড়ুয়া বুলু, সহ-সভাপতি কিশোর বড়ুয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মহিলা সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, রামু মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ ন ম আজগর হোসাইন, রামু ব্রাদার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. নবু আলম, রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ শহীদ, বাংলাদেশ স্কাউটস কক্সবাজার জেলার সহকারি কমিশনার সুকুমার বড়ুয়া বুলু, উপজেলা স্কাউট সম্পাদক আঙ্গুর বালা প্রমুখ।
শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক। সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত নেতৃত্বগুণে শৈশব থেকেই তিনি সংগঠক। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিয়েও শেখ কামাল খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। আদর্শিক পিতার আদর্শিক সন্তান ছিলেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠকও ছিলেন তিনি।
ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল বেঁচে থাকলে, হয়তো যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরও আধুনিক ও প্রগতিশীল অবস্থানে আসীন থাকতো বর্তমান বাংলাদেশ। তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ স্বপরিবারে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালকেও আমরা হারিয়েছি। আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। সেই কালোরাত্রির কথা স্মরণ রেখেই, কাল অতিক্রম করে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাবো।