আলীকদম কুরুপপাতা ইউনিয়নের সাইস্প্রা ঝর্ণায় পা পিছলে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। গত ১১ই আগস্ট ২১ জন পর্যটক আলীকদম উপজেলার কুরুপপাতা ইউনিয়নের সাইস্প্রা ঝর্ণায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যান।
তারা সাইস্প্রা ঝরনার উপর উঠার সময় পা পিছলে পড়ে মোঃ আতাহার ইশরাক রাফি,পিতা মোঃ শওকত আলী নামের এক ব্যক্তি পা পিছলে ঝিরিতে পড়ে যান এবং তিনি মাথায় প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই অবনতি হলে ১২ তারিখ সাইস্প্রা ঝর্ণার পাশে তার মৃত্যু হয়।১৩ই আগষ্ট ৫.৩০ মিনিটে আলীকদম সেনা জোনের টিওবি হতে ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে একটি টহল দল পর্যটকদের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে খাবার নিয়ে সাইস্প্রা ঝর্ণায় যান।
সেখানে গিয়ে সেনাবাহিনী নিহত ব্যক্তির লাশ সাইস্প্রা ঝর্ণা আমতলী ঘাট পর্যন্ত নিয়ে আসেন। সেখানে নিয়ে আসার পর আলীকদম সেনা জোন প্রতিনিধি,উপজেলা চেয়ারম্যান আলীকদম থানা পুলিশ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধির মাধ্যমে নিহত পিতা-মাতার কাছে সকল নিয়ম মেনে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের চাচাতো ভাই চকরিয়া উপজেলার বদরখালী হাবিবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল করিম বলেন, আতহার ইশরাক রাফির মাতা তসলিমা বেগম বাকলিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরীরত রয়েছেন। সেই সুবাদে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোটকাল থেকে চট্টগ্রাম শহরে বেড়ে উঠেছে ইশরাক। গ্রামে বাড়ি চকরিয়ায় আসতেন মাঝে মধ্যে। বিয়েও করেছেন চট্টগ্রাম থেকে।
তিনি বলেন, ১২ আগস্ট ইশরাক রাফি তার স্ত্রীসহ বন্ধু বান্ধব মিলে ২৫ জনের একটি দল আলীকদমে ভ্রমণ করতে যান। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পা পিছলে পাহাড় থেকে নিচে ঝর্ণায় পড়ে যায়। ৬ ঘন্টা ধরে সহপাঠীরা চেষ্টা করে ঝর্ণা থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় ইশরাক রাফিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।