বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের অনেক ঋণ। তা কখনো শোধ করতে পারব না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পথেই আমাদের চলতে হবে। বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নকে ধারণ করে, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে হবে। তবেই আমরা সত্যিকার অর্থে বড় হতে পারব। বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারব। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মকে চর্চা ও প্রতিযোগিতায় পরিচিত করেছে সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার। আমাদের প্রত্যেককে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি সুস্থ ধারার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার আয়োজিত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
‘মুজিব বলতেই রাজনীতি না, মুজিব মানেই বাংলাদেশ’। এ প্রতিপাদ্যে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন, সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রিমন বড়ুয়া। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারবর্গ সহ ১৫ আগস্টের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা অনু্ষ্ঠান। এতে বক্তৃতা করেন, কবি ও রাজনীতিক সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের উপদেষ্টা মানিক বৈরাগী, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া, সমাজসেবক ও এলজিইডি কর্মকর্তা তিলক বড়ুয়া, খেলাঘর সংগঠক নিরুপমা বড়ুয়া বেবী, ইউপি সচিব মৃণাল বড়ুয়া, শিক্ষক রূপম কুমার দাশ, জসিম উদ্দিন প্রমুখ। সভায় অতিথিরা সমাজ পরিবর্তনে সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের এ অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো, রামু উপজেলা প্রশাসন ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদ।
স্বাগত বক্তব্যে সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রিমন বড়ুয়া বলেন, আমাদের এই যাত্রা বইকে ঘিরে, আমরা বই নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের এই যাত্রায় আমরা যাদের পাশে পেয়েছি তাঁদের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। সাহিত্য প্রবাহিত হোক, পৃথিবী বইয়ের হোক এই আমাদের শ্লোগান। আমরা বিশ্বাস করি, সকলের সহযোগিতায় সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার একদিন সকল স্বপ্ন পূরণ করে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবে।
সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম সাঈদী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের কার্যকরী সদস্য সুমন্ত বড়ুয়া, কলি বড়ুয়া, তাহিয়ান কামাল, মোবারক হোসেন, সূর্য্যয় বড়ুয়া শুভ, প্রবাহিকা বড়ুয়া মেধা, বিজয় বড়ুয়া, জিয়াউল কবির মোরাদ, ঈশান বড়ুয়া, মুশফিকুল ইসলাম সিফাত ও প্রচ্ছদ বড়ুয়া অংকন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সুমন্ত বড়ুয়া।
শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে শুরু হয় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। দুই শতাধিক প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ প্রতিযোগিতায় পাঁচ বিভাগে বিচারকের দ্বায়িত্ব পালন করেন, অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া, সংস্কৃতিকর্মী মানসী বড়ুয়া, শিক্ষক-চিত্রশিল্পী সঙ্গীত বড়ুয়া, চম্পক বড়ুয়া, শিক্ষক রূপম কুমার দাশ, উপেল বড়ুয়া, নিরুপমা বড়ুয়া বেবী। প্রতি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান সহ দশজন করে, সর্বমোট ৫০ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতায় পর্যবেক্ষক ছিলেন, সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারে পৃষ্ঠপোষক তিলক বড়ুয়া, সাংবাদিক খালেদ শহীদ, অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, শিক্ষক বিভাষ বড়ুয়া, উপেল বড়ুয়া, শিক্ষিকা নিরুপমা বড়ুয়া বেবী, সংগঠক মৃণাল বড়ুয়া,তরুণ সংগঠক অর্ক বড়ুয়া, জিৎময় বড়ুয়া প্রমুখ।