সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেছেন, জাতির জনককে যারা হত্যা করেছে। তারা আত্মস্বীকৃত বই লিখেছে। নিজেদের বইয়ে দম্ভোক্তি দিয়ে বলেছে, কাকে কিভাবে হত্যা করেছে। আত্ম-অহমিকায় তারা নিজেদের সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বলে ছিলো, আমরা শেখ মুজিবকে খুন করেছি। কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়ে ছিলেন জিয়াউর রহমান। পৃথিবীর কোন আদালতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ছিলোনা। বাংলাদেশে সেই কলংক স্থাপন করে ছিলেন, জিয়াউর রহমান। খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুর সাহস শক্তি এবং বঙ্গবন্ধু’র শৌর্যবীর্য যদি কোন একটি দশ বছরের সন্তানের কাছেও থাকে, তাকেও তারা ভয় পেয়েছিল। যারা মাস্টার মাইন্ড ছিলো, তাদের অভ্যাসই ছিলো স্বপরিবারে হত্যা করা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এমপি কমল একথা বলেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শুরু হয়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খতমে কোরআন, দোয়া আলোচনা সভা।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, মানুষের চরিত্র বদলায় না। যারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছিলো। তারা পঁচাত্তরে এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডকে সমর্থন জানিয়েছিল। তারা এরশাদকে সমর্থন জানিয়ে ছিলো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যার সমর্থন জানিয়ে ছিলো। এখনও তারা যেকোন সময়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব ঐক্যবদ্ধ থাকা। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অটুট থাকবে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে আসতে না পারে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক জায়গায় থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় থাকলে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান থাকবে। আমাদের সন্তানরা আজীবন সম্মানে থাকার সম্ভাবনা আছে। জঙ্গিবাদ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে গেলে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাকিম নুকি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, কক্সবাজার সদর উপেজলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, একাত্তর জয়বাংলা বাহিনীর কক্সবাজার প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম কামাল হোসেন সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা বক্তৃতা করেন।