ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে নিরাপদ যাতায়ত, ডাকাতি ও অপহরণ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে দুর্গম জনপদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ওই সড়কের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নে জঙ্গল গজালিয়া এলাকাসহ দুর্গম এলাকা সরজমিন পরিদর্শন করেন তিনি। সকালে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছালে, স্থানীয়রা বিভিন্ন সময়ে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাতি ও অপহরণ ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা তুলে ধরেন।
ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পরেও ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাতি ও অপহরণ বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি। দীর্ঘ বছর ধরে সংঘঠিত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল, কণ্ঠশিল্পীসহ বহু লোক নিহত হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে অপহরণ ও ডাকাতি আতংকে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে জরুরী মুহুর্তে কোন রোগীকে হাসপাতালে নেয়া যায়না। এখানে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি নেই। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এই অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা সহ স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি, বিজিবি বা সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানান তারা।
এসময় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাতি ও অপহরণ প্রবণ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরী। এই স্থানে সেনাবাহিনী বা বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হলে, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা বন্ধ হবে।
ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাতি ও অপহরণ আতংক এলাকা পরিদর্শন কালে সাইমুম সরওয়ার কমলের সাথে ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো, রামু প্রেসক্লাব সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, ইউপি সদস্য খোরশেদ, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মনিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি কামাল শিশির, সাধারণ সম্পাদক কামরুল আমিন, ছাত্রলীগ সভাপতি কাউসার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।