খালেদ হোসেন টাপু:
কক্সবাজারের রামুর প্রখ্যাত আলেম, রামু উপজেলার রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদারের জানাযায় হাজার হাজার মুসল্লী, আলেম-উলামা, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক জনতার ঢল।
আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আলহাজ্ব মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদারের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার আগে হাফেজ মোঃ আবুল মঞ্জুরের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রাজারকুলের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলম চৌধুরী, মুফতি মোর্শেদুল আলম, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আবদুল হক, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হক, জেলা নেজামে ইসলামী পার্টির সভাপতি হাফেজ মাওলানা সালামত উল্লাহ, জেলা হেফাজত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াছিন হাবিব, রাজারকুলের বর্তমান চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, মরহুমের ছোট ভাই রাজারকুলের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সিকদার, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ মোঃ হাসান, মওলানা মুসলিম, মাওলানা মোক্তার আহমদ, মাওলানা আবদুল গফুর, মাওলানা নুরুল কবির হেলালী, রামু বিএনপির যুগ্ম ম্পাদক আবুল বশর বাবু, টিপু সুলতান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজ আহমদ মাহিন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন রাসেদ, সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু, মাওলানা আব্দুচ্ছালাম কুদ্ছী, ঈদগাঁও বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমান প্রমুখ।
জানাযায় ইমামতি করেন, আজিজুল উলুম মাদ্রাসার নির্বাহী পরিচালক মরহুমের ভাতিজা মাওলানা মোহছেন শরীফ। যানাজার নামাজ শেষে তাঁকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
এছাড়া জানাযায় জেলা ও রামু উপজেলার বিশিষ্ট আলেম-উলামা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, মাদ্রাসার পরিচালক, শিক্ষক-ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদার বাংলাদেশ নেজাম ইসলাম পার্টির রামু উপজেলা সভাপতি ও রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান এলাকায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।