যেকোনো সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১২০/৮০। হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে অর্থাৎ রক্তচাপ ৯০/৬০ বা এর কাছাকাছি থাকলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার বলা হয়। প্রেশার খুব বেশি কমে গেলে তা কিডনি, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এর ফলে সেসব জায়গায় রক্ত চলাচল ঠিকভাবে হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম, ভয়, দুশ্চিন্তা ও স্নায়ুর দুর্বলতার কারণে এমনটা হতে পারে।
প্রেশার কমে যাওয়ার লক্ষণ
প্রেশার কমে যাওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, অবসাদ, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া, অনেক বেশি বমি হওয়া ইত্যাদি। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রথম ৬ মাস হরমোনের প্রভাবে প্রেশার কমে যেতে পারে।
হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে কী করবেন?
লবণ-পানি
হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে এক গ্লাস পানিতে ২ চা-চামচ চিনি ও ১-২ চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে। কারণ লবণে সোডিয়াম থাকে, তাই এটি রক্তচাপ বাড়াতে কাজ করে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে চিনি এড়িয়ে যাবেন।
কফি
কফি প্রেশার বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে। স্ট্রং কফি, হট চকোলেট ও ক্যাফেইন রয়েছে এমন যেকোনো পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেশার বাড়াতে কাজ করে। আপনার যদি অনেক দিন ধরে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সকালে ভারী নাস্তা করার পর ১ কাপ কফি খেয়ে নেবেন। এতে উপকার পাবেন।
পুদিনা পাতা
উপকারি পাতা পুদিনা। এর সুগন্ধ ও স্বাদ অনন্য। তবে এসব ছাড়াও পুদিনার রয়েছে দুর্দান্ত উপকারিতা। এই পাতায় থাকে ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান। এগুলো দ্রুত ব্লাড প্রেশার বাড়ানোর পাশাপাশি দূর করে মানসিক অবসাদও। পুদিনা পাতা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
বিটের রস
হাই ও লো প্রেশার দুই ক্ষেত্রেই সমান উপকারী হলো বিটের রস। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে এক সপ্তাহ বিটের রস খেলেই উপকার পাবেন। পেশ্রার কমে গেলেও ৫টি কাঠবাদাম ও ১৫-২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন।
যষ্টিমধু
যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। হঠাৎ প্রেশার কমে গেলেও এটি কাজে লাগাতে পারেন। এককাপ পানিতে ১০০ গ্রাম যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর পানিটুকু খেয়ে নিন। এতে প্রেশার বেড়ে যাবে।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট