উচ্চ রক্তচাপের আরেক নাম হাইপারটেনশন। হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ বেশি থাকলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার বলা হয়। শঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষ নিজেরা হাইপারটেনশনে ভুগছেন সে সম্পর্কে জানেন না। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওরের মত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকার কথা ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কিন্তু সেটি যদি কারো পরপর দুইদিন ১৪০/৯০ এর বেশি থাকে, তখন সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বলে চিহ্নিত করা হয়। রক্তচাপ বেড়ে গেলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপের ৭ লক্ষণ কী কী।
১। মাথা ও ঘাড় ব্যথা
মাথা ব্যথা উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি। যদিও মাথা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে যদি ক্রমাগত মাথাব্য থা থাকে তবে রক্তচাপ নিরীক্ষণ করা নেওয়া ভালো। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হওয়া মাথা ব্যথা সাধারণত মাথার উভয় পাশেই হয়। মাথার ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে ঘাড়েও।
২। বুক ব্যথা
হৃৎপিণ্ড একটি পেশীবহুল অঙ্গ। যদি এটি রক্ত পাম্প করতে করতে ক্লান্ত বোধ করে, তবে বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অনেকেই হালকা বুকের ব্যথাকে উপেক্ষা করে যান এবং নিয়মিত ব্যথা মনে করেন। তবে এ ধরনের ব্যথা টানা কয়েকদিন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩। মাথা ঘোরা
যদিও মাথা ঘোরা উচ্চ রক্তচাপের একমাত্র উপসর্গ নয়। অন্যান্য উপসর্গগুলোর সাথে এটি হতে পারে।
৪। অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া
সিঁড়ি দিয়ে অল্প একটু উঠলেও কি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন? করে থাকলে রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। যদিও এর বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। তাদের মধ্যে পালমোনারি হাইপারটেনশনও হতে পারে একটি কারণ। যার অর্থ হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের সংযোগকারী ধমনীতে উচ্চ রক্তচাপ।
৫। ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
ক্লান্তি এবং দুর্বলতাও বিভিন্ন কারহতে পারে। তবে উচ্চ রক্তচাপের কারণেও হতে পারে এমনটি। উচ্চ রক্তচাপ ক্লান্তি সৃষ্টি করে, যেহেতু শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃৎপিণ্ড অতিরিক্ত কাজ করে।
৬। চোখে ঝাপসা দেখা
যেহেতু উচ্চ রক্তচাপ শরীরের অনেক অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে, এটি রেটিনার রক্তনালীকেও প্রভাবিত করে। এতে রক্তনালী শক্ত হয়ে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে।
৭। অস্থিরতা
খুব দ্রুত উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠা এবং অস্থিরতা উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ। উচ্চ রক্তচাপের চরম মাত্রা উদ্বেগের পাশাপাশি মানসিক চাপের সাথে সম্পর্কিত। অতিরিক্ত অস্থিরতা অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: ফেমিনা