প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু:
“ভাইরে ভাই আমি তোমাদের পায়ে পড়ি, তোমরা আমার ছেলেকে নিয়ে যেওনা, তাকে আমার বাড়িতে থাকতে দাও’ – সুপন বড়ুয়া টাবুর মায়ের এমন আহাজারিতে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। একমাত্র পুত্র সন্তানকে ১৭ অক্টোবর চিরদিনের মত হারিয়ে পেলেন মা দিপালী বড়ুয়া। বাঁকখালী নদীতে ডুবে নিখোঁজ থাকা এই দুঃখীনী মায়ের হতভাগ্য ছেলের মৃতদেহ অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে।
১৮ অক্টোবর বিকাল ৫টার দিকে নিখোঁজ ছাত্র সুপন বড়ুয়া টাবুর মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
এর আগে চট্রগ্রাম থেকে আসা ডুবুরী দল তার মৃতদেহ সকাল থেকে নদীর বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। কোথাও না পেয়ে ডুবুরী দল স্পীডবোট নিয়ে কক্সবাজারের রাবারড্যাম অতিক্রম করে খুরুশকুল ৬ নম্বর লঞ্চঘাট পর্যন্ত চলে যায়। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে পূর্ব রাজারকুল বৌদ্ধ বিহারের সামনে নদীর ঘাট সংলগ্ন ডুবে যাওয়া স্থান থেকে কিছু দূরে সুপন বড়ুয়ার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এদিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন। পরে বাড়ি থেকে শ্রীকুল মৈত্রী বিহার চত্বরে রেখে তার ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্ন করে সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় জাদিপাড়া শশ্মানে তাকে কবরস্থ করা হয়।
উল্লেখ্য, রামু পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের মৃত সুখেন্দু বড়ুয়া বাটু এবং দিপালী বড়ুয়া পুতুর একমাত্র ছেলে সুপন বড়ুয়া টাবু ১৭ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে বাঁকখালী নদীতে নিখোঁজ হয়।