রামুতে দেড় হাজার রোজাদারকে ইফতার সামগ্রী দিয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষু কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের। সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে জ্যোতিসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মুসলিম পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের মহাপরিচালক কে. শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের।
ইফতার সামগ্রী বিতরনকালে রামু রাংকুট বৌদ্ধ বিহারের মহাপরিচালক ও জ্যোতিসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভদন্ত কে. শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের বলেন, মানবতাকে সকল ধর্মই সম্মান করে। মানুষকে ভালোবাসলে সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়া যায়। ধর্মের বিভেদ ভুলে গিয়ে গরিব অসহায়দের মাঝে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য। মানবতায় হোক মানবের ধর্ম, দিনশেষে আমাদের সকলের পরিচয় আমরা মানুষ।
রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান তাপন সেন ভিক্ষু বলেন, প্রতিবছরের মত জ্যোতিসেন মহাথের মহোদয় মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসে প্রতিবেশী অসহায় ১৫০০ রোজাদার মুসলিমকে ইফতার সামগ্রী প্রদান করেন। বৌদ্ধ ধর্মীয়গুরু হয়েও মানবতা ও সম্প্রীতির দৃঢ়করণের প্রত্যয়ে ১১ বছর ধরে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছেন আচারীয় পূজ্য কে. শ্রী জ্যােতিসেন মহাথের মহোদয়। মানুষ হয়ে মানুষের জন্য এই সম্প্রীতি ও মানবিক কাজের দ্বারা একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সহানুভূতিশীল পৃথিবী গড়তে অবদান রাখবে।
ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ভান্তে প্রতিবছর রমজান মাসে গরিব এবং অসহায় রোজাদারকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। করোনা কালেও তিনি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অসহায় এবং দুস্থদের মাঝে। তারা আরও বলেন এখানে সম্প্রীতির কোন ঘাটতি নাই। হিংসে নেই, রয়েছে অপর ধর্মের প্রতি ভালোবাসা। ভান্তের এমন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানাই।
বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু কে শ্রী জ্যোতিসেন মহাথেরর এমন কর্মকান্ড সমাজে প্রশংসা কুড়াচ্ছে । দৃঢ় করছে এখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন। মানুষ বুঝতে শুরু করেছে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্ম।
ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জ্যোতিসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর বড়ুয়া, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক দানু মিয়া, রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান তাপন সেন ভিক্ষু।