দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ প্রথমবার গঠনের ক্ষেত্রে প্রথম নির্বাচনের তারিখ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। সে অনুযায়ী তারা ২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে। প্রথমবার পরিষদের মেয়াদ শেষে পরের নির্বাচনগুলোতে কমিশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে।খবর প্রথম আলোর।
তবে নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ইত্যাদি কাজের জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। অতিরিক্ত সচিব বলেন, নির্বাচনের তফসিল আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষণা করা হতে পারে।
আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠন হবে। চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশন (থাকলে), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এ জন্য প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে।
কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র রাখা হবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচন করার জন্য ৬ অক্টোবর জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে সংসদে বিল পাস হয়। ২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইনে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের বিধান ছিল না। নতুন আইনে আদালতে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগের আইনে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না।
এখন তাঁরা ভোট দিতে পারবেন।
সরকার ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা বাদে বাকি ৬১টি জেলা পরিষদে দলীয় নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তখন স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা হবে।