গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ:
টেকনাফে সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকার রোকেয়া আক্তার (২১)নামের এক গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী। এ ঘটনায় জনতা পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক স্বামী মো. রুবেল (২৮) কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোর্পদ করেছে। সে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার কোশালডেঙ্গি এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে।
ঘটনা পরিদর্শন করে দেখা য়ায়, আজ (২৯ অক্টোবর) শনিবার বেলা ১২ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধু রাজারছড়া এলাকার বদিউল আলমের মেয়ে। দায়ের কুপে তার গলা কেটে পেলে ও বাম হাতের কজ্বি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড এমনটি মনে করছেন পুলিশ।
নিহত রোকেয়ার বড় ভাই আয়াছ আমাদের রামু কে জানান, রোকেয়ার স্বামী মাদকাসক্ত ছিল সে প্রতিনিয়ত ইয়াবা সেবন করতো।
সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী কক্সবাজার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের এফিডেভিট মূলে বিয়ে হয়। এরপর রাজারছড়া এলাকায় শ্বশুর বদিউল আলমের বাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে রুবেল। এক বছর আগে এ দম্পতি দিনাজপুর চলে যায়। গত রমজান মাসে রোকেয়া আক্তার সস্তান জন্ম দানের জন্য টেকনাফে পিতার বাড়ীতে আসে। গত ২০ দিন আগে তার সংসারে একটি কন্যা সস্তান জন্ম গ্রহন করে। এ খবর পেয়ে ৪/৫ দিন আগে স্বামী রুবেল দিনাজপুর থেকে শ্বশুর বাড়ীতে আসে। এরপর শনিবার এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় বড় সস্তান সিফাত (৩) কে নিয়ে নানী পাশের বাড়ীতে যায়। এ সুযোগে স্বামী দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী রোকেয়াকে। এ সময় ওই কক্ষে সদ্য জন্ম নেয়া কন্যা সস্তানদে দোলনাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো।

এ দিকে নানী শিশু সিফাতকে মায়ের কাছে দিতে এসে দেখতে পায় মেয়ের স্বামী রুবেল রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ী থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছে। এ সময় শ্বাশুড়ীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসার আগে সে পালিয়ে যায়। পরে টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বর থেকে জনতার সহায়তায় পুলিশ রুবেলকে আটক করে থানায় সোর্পদ করেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই কাঞ্চন কান্তি দাস ঘটনাস্থলে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমাদের রামু কে জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক স্বামী মো. রুবেলকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে।