গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাঁওতালদের হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে একে ‘গণহত্যার শামিল’ বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকায় সোমবার এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, “সবচাইতে অবহেলিত, সবচাইতে শোষিত, সবচাইতে নিরীহ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ, তাদেরকে কী অমানবিকভাবে পিটিয়ে বের করে দিয়ে বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে, গুলি করে মেরেছে এবং সেটা রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে।খবর বিডিনিউজের।
“আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। আজকে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, যা গণহত্যার শামিল বলে আমরা মনে করি।”
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে কারাবন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের মুক্তির দাবিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশ হয়।
গত ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপর গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালিত হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “আজকে কেউ নিরাপদ নয়। না আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, না আছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, না আছে বৌদ্ধ ধর্মের নিরাপত্তা। আর মুসলমানরা যারা আছেন, তারা প্রতিমুহূর্তে চাপের মধ্যে রয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কী হয়েছে? আজকে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এটা আওয়ামী লীগই করেছে।”
দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “খুব গর্ব করছেন, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কার প্রবৃদ্ধি বেড়েছে? আপনাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, আপনারা এখন স্ফীত হয়েছেন, আপনারা এখন সম্পদ পুঞ্জিভূত করছেন, সেই সম্পদ বিদেশে পাচার করছেন।”
বিনাবিচারে হত্যা ও কারাগারে নেতাকর্মীদের মারা যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, “স্বয়ং মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। তাহলে আমরা কোথায় যাব, কার কাছে যাব, কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে যাব? সব প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ।”
এই অবস্থার পরিবর্তনে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।