নিজস্ব প্রতিনিধি:
পেকুয়া উপজেলার দক্ষিণ মগনামা এলাকায় এস.আলম গ্রুপের মালিকানাধীন লবণ চাষযোগ্য বর্গা জমিতে দখল বেদখল নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রান্তিক লবণ চাষীদের ভয়ভীতি ও কাজি মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবীর প্রেক্ষিতে উত্তেজনা আরো বেশি প্রশমিত হয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া মুহাম্মদ মুস্তাফিজ ভুইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ কাজি মার্কেটস্থ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের কথা বলেছেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণ, প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দ্যেশে আরো বলেন, মগনামা আপনাদের এলাকা। আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। আর আপনারা যদি আবারো খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান তাহলে পুলিশ এ্যাকশনে যেতে বাধ্য হবে। আগামী শনিবার কাজি মার্কেটস্থ উম্মোক্ত ময়দানে সবার সাথে মতবিনিময় সভা করবেন বলে ঘোষনা দেন।
স্থানীয় কালার পাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, শামশু, জহির আলম ও গুরা মিয়া জানান, গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক ঘটনা ও হামলার পর বৃস্পতিবার সকাল থেকে দিদার, আতিক, আনসার, এনাম ও আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল উৎশৃংখল যুবক কালার পাড়া, মরিচ্যা দিয়া ও চাইন্দ্যা পাড়ার লোকজনকে কাজি মার্কেটে আসার সময় বাঁধা প্রদান করেন।
এসব ঘটনার ইন্ধনদাতা রশিদ মেম্বার। গতকাল সকালে আমরা কাজি মার্কেট আসতে চাইলে আমাদের উপরও হামলার চেষ্টা চালায়। এছাড়াও কাজি মার্কেটস্থ কালার পাড়ার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করা শুরু করেছেন। এঘটনায় আমরা চরমভাবে আতংকিত।
কাজি মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী মৌ: ছাদেক জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি কয়েকজন ব্যক্তি আমার দোকানের সামনে বসা। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম জানান, সকাল ১০টার দিকে কাজি মার্কেটস্থ মুদি ব্যবসায়ী মৌ: মো: ছাদেক ইউপি কার্যালয়ে এসে তার কাছ থেকে চাঁদা দাবীর কথা জানান। বিষয়টি আমি দেখবো বলে তাকে অভয় দেওয়ার পর দোকান খুলে।
কালার পাড়ার প্রান্তিক লবণ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকালে তারা লবণ উৎপাদনের জন্য লবণ মাঠ সংস্কারে কাজ করতে গেলে কাজি মার্কেটস্থ কয়েকজন ব্যক্তি তাদেরকে লবণ মাঠ থেকে চলে যেতে বাধ্য করে। তারা শেষ সহায় সম্বল দিয়ে লবণ মাঠ বর্গা নিয়েছেন। এ মাঠ থেকে লবণ উৎপাদন করতে না পারলে তাদের ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।