সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার, প্যারিস, ফ্রান্স থেকে:
ফ্রান্সের প্যারিসে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানব বন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্টিত হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যাস্ততার মধ্যেও প্রিয় মাতৃভুমির বাংলাদেশের প্রাক্তৃতিক সম্পদ সুন্দরবন সহ সারা বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার দাবী তুলেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ফ্রান্স শাখা।
প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও গণস্বাক্ষর কর্মসুচিতে অংশ নেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসীরা।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার এর সঞ্চালনায় সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ফাহাদ আহন্নাদ রিপন, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, সদস্য আহাম্মেদ আলী দুলাল, রমেন্দ্র কুমার চন্দ, রমতুল্লাহ চৌধুরী সুজন, নিলয় সুত্রধর সুমন, মহুয়া সিংহ সামান্তা, ইয়াসমীন আক্তার, সারদা মনি রায়, মোঃ গোলাম মোর্শেদ, জুয়েল দাস রায়, মেহেদী হাসান সহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন সারাদেশব্যাপী চলছে প্রতিবাদ, প্রতিবাদ আজ দেশের মধ্যেও সিমাবদ্ধ নেই সারাবিশ্বের বিভিন্ন শহরে এই প্রকৃতি বিনাশকারি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কিন্তু সরকার সেদিকে কর্নপাত না করে কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সার্থ রক্ষা করে চলছে।
এই প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় কমিটির সাথে সংহতি প্রকাশ করেন প্যারিসে বসবাসকারী শিল্পী মুহিত, মাহবুবুর রহমান, মিজানুর রহমান লাভলু, মোয়াজ্জেম হোসেন তারা এবং এখানকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ। তারা অচিরেই সরকারকে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসে পৃথিবীর একমাত্র ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল রক্ষার জোর দাবী জানান।
বক্তারা আরও বলেন এই রামপাল চুক্তি বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে। সকল জনমত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ-আশঙ্কা, গণআন্দোলন উপেক্ষা করে সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কি.মি. দূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রকৃতি বিনাশকারী এই চুক্তি বাতিলের দাবী জানান বক্তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশের পাশাপাশি এই দাবীর পক্ষে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং দাবীর পক্ষের যুক্তি সম্বলিত প্রচারপত্র বাংলা ইংরেজী ও ফ্রান্স ভাষায় অনুবাদ করে সকলের মাঝে বিতরণ করা হয়।
গণস্বাক্ষর কর্মসুচী সহ ধারাবাহিক এই আন্দোলন চলবে এবং অচিরেই এই চুক্তি সরকার বাতিল করবে বলে জাতীয় কমিটি নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন।