নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
ভারতের কারাগারে তিন মাস সাজা খেটে গত ১ মার্চ মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন ৫৭ জন জেলে।
গত বছরের ১০ নভেম্বর অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমলী আদালত তাঁদের তিন মাসের সাজা দেন। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাসময়ে না পৌঁছায় ১৯ দিন বেশি সাজা খাটতে হয়েছে জেলেদের।
জেলেদের পরিবার ও ট্রলারের মালিকেরা বলেন, দুইটি ট্রলার নিয়ে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারের চকরিয়ার আট, মহেশখালীর ১১, কুতুবদিয়ার ৩৪, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর তিনজন ও নোয়াখালী সদরের একজন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। ঘন কুয়াশার কারণে পথ ভুলে ট্রলার দুইটি ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়ে।
ওই সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলার দুইটি জব্দ ও ৫৭ জেলেকে আটক করে প্যাজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় সোর্পদ করে। ১০ নভেম্বর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমলী আদালতের বিচারক ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁদের তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেন।
ট্রলার এফ.বি সাঈদ হোসেনের মালিক চকরিয়া পৌরসভার ভাঙারমুখ এলাকার বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা এলাকায় ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবির কাছে ৫৭ জেলেকে দুইটি ট্রলারসহ হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাঁদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে দুপুরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম শ্যামনগর থানার ওসির বরাত দিয়ে ৫৭ জেলে দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘৫৭ জেলের মধ্যে ৫৩ জন কক্সবাজারের চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর বসিন্দা। বাকি চারজনের মধ্যে একজন নোয়াখালী সদর ও তিনজন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।
জেলেরা বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক- ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এমন কাগজ পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টায় তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় বিএসএফ।’