ইমরান হোসাইন:
পেকুয়ায় ট্রাকে লবণ বোঝাই করা হচ্ছে সড়কের ওপর। তাই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে লবণবাহী ট্রাক সড়ক থেকে খাদে পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরইতলী-মগনামা সড়কের মগনামা ইউনিয়নের বাজার পাড়া থেকে ফুলতলা অংশে ট্রাকে লবণ ভরা হচ্ছে সড়কের ওপর। সরু সড়কের অর্ধেকাংশ দখল করে লবণ বোঝাই করার জন্য ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখার দরূণ অপরাংশে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অন্যান যানবাহন। একপাশ ঘেঁষে গাড়ী চলাচল করার কারণে ধেবে যাচ্ছে সড়ক। যা পরিবর্তী সময়ে ধ্বসে পড়ছে পার্শ্ববর্তী নিচু জমিতে। এতে দিনদিন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়ে চলাচলের যোগ্যতা হারাচ্ছে সড়কের ওই অংশটি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পথচারীরা বলেন, মুনাফালোভী লবণ ব্যবসায়ীরা বোঝাই খরচ হ্রাস করতে রাস্তার ওপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখছে। এতে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলা মানুষসহ স্কুল-কলেজগামী স্থানীয় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শংকা নিয়ে যাতায়াত করছে।
এব্যাপারে মগনামা লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুল আজিম বলেন, সড়কে লবণ বোঝাই করছেন শুধুমাত্র ৩-৪জন লবণ ব্যবসায়ী। এতে আমরা মানা করেছি। তারা আমাদের কথা কানে নেয়নি। সুতরাং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা দায়ী থাকবো না।
এব্যাপারে লবণ ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, সড়ক থেকে লবণ বোঝাই করতে পারলে আমাদের খরচ একটু কম হয়। আর এতে যান চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটছে না।
বরইতলি-মগনামা সড়ক সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বারেক বলেন, লবণ বোঝাই করার সময় ট্রাক থেকে গলে পড়া লবণ পানি সড়কে পিচ্ছিল অবস্থা সৃষ্টি করছে। এতে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা সবসময় থেকে যায়।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব উল করিম বলেন, বিষয়টি এতদিন আমার নজরে আসেনি। সড়কের ওপর লবণ বোঝাই না করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হবে।