শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার সরানো হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই বিষয়টি টের পেলেও কর্মকর্তারা তা গোপন করে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে এক মাস পর তা পত্রিকা পড়ে জানতে হয়।
অর্থ লোপাটের বিষয়টি চেপে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাকে ‘অযোগ্যতা’ আখ্যায়িত করে ‘ক্ষুব্ধ’ মুহিত রোববার বলেছিলেন, এই ‘স্পর্ধার’ জন্য ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
অর্থ লোপাট এবং তার তদন্ত নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে গভর্নরের পদত্যাগের খবরের পর তা বাতিলের ঘোষণা এসেছে।
গভর্নরের দায়িত্ব পালনকালে দেশ-বিদেশে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পান আতিউর রহমান। গত বছর লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা দি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস তাকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে। এর আগে ফিলিপিন্সের গুসি শান্তি পুরস্কার পান তিনি।
আতিউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৯ সালের ২৮ নভেম্বর, জামালপুরে।
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। পিএইচডি ডিগ্রি পান ১৯৮৩ সালে৷
মাস্টার্স পড়ার সময়ই ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন আতিউর রহমান। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে (বিআইডিএস)৷ এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণ বিপ্লব নিয়ে অনেক গবেষণামূলক লেখা রয়েছে তার। প্রবন্ধের জন্য এ বছর বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা।
বিডিনিউজ থেকে নেয়া