হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার
আমাদের রামু ডটকম :
বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন তার পেছনে বড় অবদান হচ্ছে আওয়ামী লীগের। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হত না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে তার সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
মঙ্গলবার ১৫ মার্চ বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ‘আধুনিক পদ্ধতিতে দেশী ভেড়া পালন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণি ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, এ মাসে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন করতে চেয়েছিলেন। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন এবং তিনি দৃঢ়ভাবে অসাম্প্রদায়িত্ব চেতনা ও গণতন্ত্রের বিকাশে বিশ্বাস করতেন।
স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তিন বছরের মাতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শত্রুদের হাতে নৃশংসভাবে তিনি নিহত হন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার মতোই দুঃস্থ ও গরিব মানুষের কল্যাণে ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসাবে দরিদ্র জনগোষ্টির দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে সারা দেশে দেশীয় ভেড়া পালন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বিদেশীরা ভেড়া পালন করেই সাবলম্বী হচ্ছে। তাই পার্বত্য অঞ্চলের গরিব লোকজনকেও এ পথ বেচে নিতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার একটি বাড়িকে একটি খামারে পরিণত করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাটে ঘাটে কাজ করে একজন নারী হয়েও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অনেক সফলতা অর্জন করেছেন।
প্রত্যেক খালি হাতকে পূরণ করার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা। এ জন্য বিভিন্ন চাকুরিসহ নানা কাজে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতি দেখে আজ বিশ্ববাসী অভিভূত।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড.তালুকদার নূরুন্নাহার ও বিএলআরআই এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুরশিদা ইয়াসমিনের প্রানবন্ত সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান ও বিএলআরআই এর প্রকল্প পরিচালক ড.মো. এরশাদুজ্জামান।
এসময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শাহেদুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা চলাকালীন সময়ে স্থানীয় মারমা শিল্পী গোষ্টির পক্ষ থেকে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা সভার পূর্বে প্রতিমন্ত্রীদ্বয় বিএলআরআই আঞ্চলিক কেন্দ্রে নবনির্মিত প্রাণি পুষ্টি ও প্রাণীরোগ নির্ণয় ল্যাবরেটরী ও খামার পরিদর্শন করেন।
সবশেষে ৭ জন আগ্রহী খামারিকে ৩টি করে সর্বমোট ২১টি ভেড়া বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রকাশনা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আমাদের রামুকে জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে দেশী ভেড়া পালনের জন্য নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রথমে ৫০ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে বাকিরাও এ কার্যক্রমের আওতায় আসবে।