নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী খাইরুল এনামের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির তিন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের মহুরী পাড়া স্টেশনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে কাজীর মার্কেট এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপি প্রার্থী শরাফত উল্লাহ মহুরী পাড়া স্টেশনে যান। এ সময় বিএনপির মিছিল থেকে মহুরী পাড়া স্টেশনের একটি দোকানের টিনের চালা খুলে ফেলা হয়। এনিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী খাইরুল এনামের সমর্থকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে বিএনপি প্রার্থীর ভাই এনায়েত উল্লাহ (৩০), মো. আমির (২২) ও আবদুল খালেক (৫০) গুরুতর আহত হয়। পরে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফুর রশিদ খাঁন ও পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির প্রার্থী শরাফত উল্লাহ হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী খাইরুল এনাম ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
শরাফত উল্লাহ দাবি করেন, আওয়ামীলীগের প্রার্থী খাইরুল এনামের নেতৃত্বে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন সমর্থক আহত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাকে ও তাঁর কর্মীদের হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা প্রকাশ্যেই বলছেন, ভোটের দিন আধা ঘন্টার মধ্যে সব ভোট কেটে নেয়া হবে।
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুল এনাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি প্রার্থীর মিছিল থেকে প্রথমে দোকানে ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কাউকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেনি।