নিজস্ব প্রতিনিধি,কুতুবদিয়া।
কুতুবদিয়ায় কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ,গুলি,ব্যালট ছিনতাই ও ভাঙচুরের ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সকালে বড়ঘোপ ইউনিয়নে কুতুবদিয়া কলেজ ও মনোহরখালী স.প্রা: কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের মাঝে জবর দখল নিয়ে গুলি বর্ষনে অন্তত আহত হয়েছেন ৩০ জন।
এ ছাড়া উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট কাটতে গিয়ে সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরো ২০/২৫ জন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোট সুষ্ঠভাবে শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বড়ঘোপ ইউনিয়নে কুতুবদিয়া কলেজ ও মনোহরখালী স.প্রা.বিদ্যালয় কেন্দ্রে দু‘জন সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের মাঝে উত্তেজনা কে কেন্দ্র করে গোলা-গুলির ঘটনায় শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়।
বিকেলে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা জহিজ্জ্যার পাড়া, ইফাদ শেল্টার, আফাজ উদ্দিন স.প্রা. বিদ্যালয় ও আজগরিয়া স.প্রা.বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে ভোটারদের বাধার মুখে সংঘর্ষে গুলি ও হামলায় অন্তত ২০/২৫ জন আহত হয়।
এছাড়া একই ইউনিয়নে সকালে ফয়জানি পাড়া ভোট কেন্দ্রে আ‘লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজ উদ্দৌলাহ (আনারস) ছুরিকাহত হন। বড়ঘোপ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ শাকের উল্লাহ, বিএনপি‘র প্রার্থী মোবারক হোছাইন এবং আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ খান চৌধুরী নির্বাচন বর্জন করার ঘোষনা দেন দুপুরের আগেই।
এ দিকে বিকালে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের প্রিজম সাইক্লোন সেল্টার কেন্দ্রে ব্যালট পেপার উধাও’র ইস্যু নিয়ে চেয়ারম্যান রোডে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু মুছা কুতুবীর সমর্থকেরা আজম সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে সাংবাদিকদের বহনকারী জীপগাড়ী সহ নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত ৪টি মটর সাইকেল ভাঙচুর করে।
তাদের হামলায় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী দৈনিক পূর্বকোণ প্রতিনিধি হাছান কুতুবী, অর্থ সম্পাদক এম.এ মান্নান, নির্বাহী সদস্য আকবর খান, আরিফুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, আবু ওবায়েদ খালেদ, চালক আবুল কালাম, হেলপার মুবিন সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ পৌছে হামলাকারীদের ছত্রভংগ করে দেন।