সোয়েব সাঈদ ও হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের ইতিহাস মানে বাঙালির ইতিহাস। আওয়ামীলীগের ইতিহাস মানে বাংলাদেশের ইতিহাস। শেখ হাসিনার সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সাধারণ মানুষের মূখে হাসি ফুঁটে।
বুধবার ২৩ মার্চ বিকেলে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে দেওয়া বিশালকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সাবেক এ মন্ত্রী আরও বলেন, দেশ আজ বদলেছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল ও দিনবদলের দেশ। কিন্তু এখনো বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বদলেনি। দেশের সকল মানুষ সুখে থাকলেও ভালো নেই বেগম খালেদা জিয়া। আর কি করেই বা থাকবেন! তার এক ছেলে মারা গেছেন। আরেক ছেলে পলাতক আসামি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, রামুর বোটানিক্যাল গার্ডেন ড.হাছান মাহমুদেরই অবদান। উনার মতো একজন নেতা রামুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে সবাইকে ধন্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে সবাইকে একযোগে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে হবে। এটা সম্ভব হলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে। তবে মনোনয়ন বাণিজ্য যাতে বন্ধ হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান এমপি কমল।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড.সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এ সংবর্ধনা ও সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা উনার কর্মী। তৃণমূলে আওয়ামীলীগকে আরও শক্তিশালী করে পুণরায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গ্রামে-গঞ্জে নৌকাকে অধিক জনপ্রিয় করে তোলার জন্য ইউপি নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আওয়ামীলীগ কোন অযোগ্য ও বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে না। যোগ্যতা-সততা ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করেই কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন, সারা দেশে আজ আওয়ামীলীগের গণজোয়ার বইছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দশটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তাই কক্সবাজার সদর ও রামুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে জয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এড.নুরুল ইসলাম, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রিয়াজুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল হোছেন কোম্পানি প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুস সালাম কালু জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদককে স্বর্ণের নৌকা উপহার দেন। এসময় পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের যুগ্ন-সম্পাদক রেজাউল করিম, সাংবাদিক আবদুল মাবুদ, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নি, জেলা শ্রমীকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রহিম উদ্দিন, পৌর আওয়ামীলীগনেতা শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, রফিক মাহমুদ, এবি ছিদ্দিক খোকন, দেলোয়ার হোসেন কালু, শাহেনা আক্তার পাখি, কাজী সুলতান আহমদ শামীম, একে.এম নজরুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, সালাউদ্দিন সেতু, সেলিম নেওয়াজ, মীর কাশেম, মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদুল আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলার এগার ইউনিয়নের শত শত লোকজন মিছিল সহকারে যোগদান করেন।
রামু নাগরিক কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।